কলকাতা : ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব শব্দগুলোর সঙ্গে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ না করতে পারাকেই আমরা ইনফার্টিলিটি বলে থাকি। অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে, এই সমস্যা চিরকালীন নয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কেটে যাওয়া সম্ভব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই কিছু লক্ষণ খেয়াল রাখা দরকার। উপসর্গগুলো দেখে প্রথম থেকেই চিকিৎসা করালে তা সেরে যাওয়াও সম্ভব। তাই কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে আসছে, তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই পিরিয়ড কম দিনের জন্য হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ড ৪ দিনেরও বেশি সময় থাকে। তার সঙ্গে তলপেটে হয় মারাত্মক যন্ত্রণা। যাঁদের টানা অনেকদিন পিরিয়ডের সঙ্গে তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং মাথা ঘোরা, বমি ভাব, পিঠে ব্যথা এবং যৌন মিলনের সময় ব্যথাভাব অনুভব হয়, তাঁদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


২. সন্তান ধারণের ক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে আসার আর একটি লক্ষণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, অনেকেরই অনিয়মনিত পিরিয়ড হয়। এর সঙ্গে যদি ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তাহলে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।


৩. ইনফার্টিলিটির ক্ষেত্রে কিছু হরমোনের সমস্যাও দেখা দেয়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মারাত্মক অ্যাকনের সমস্যা, হাত-পা সারাক্ষণ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, যৌন মিলনে অনিহা, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।


৪. পিরিয়ডের রঙে যদি কালচে ভাব থাকে বা যদি ফ্যাকাসে হয়, তাহলে অবশ্যই চিন্তার বিষয়। 


এছাড়াও, আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়াকেও বন্ধ্যাত্বের প্রথম লক্ষণ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে বন্ধ্যাত্বর সমস্যা সেরেও যায়।