কলকাতা : দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি যে রোগকে অতিমারির আওতায় আনা হয়েছে। সব রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে এই সংক্রমণ সামলাতে যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিতে, পাশাপাশি রাজ্যবাসীদের সতর্ক করতে। ঠিক কী এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস? এই নতুন ইনফেকশন জনিত রোগে কাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি? একঝলকে রইল সেই তথ্য।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকোরমাইকোসিস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য-
- ছত্রাকবাহিত রোগ। বিরল কিন্তু সাংঘাতিক। মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে হয়।
- নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যে ছত্রাক। দেহে গেলে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাংঘাতিক ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে চোখের।
- কোভিড সংক্রমণ কাটিয়ে উঠছেন যারা, তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকোরমাইকোসিসের সংক্রমণ।
- ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মূলত তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের দীর্ঘদিন রোগভোগের জেরে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে।
- ডায়াবিটিস রয়েছে যাদের তাদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কাও যথেষ্ট।
- শরীরের কোনও অঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে, ক্যানসার রয়েছে এই ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রেও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।
- দীর্ঘদিন ভেন্টিলেটরে রয়েছেন যারা তাদের ক্ষেত্রেও রয়েছে যথেষ্ট আশঙ্কা।
- স্টেরয়ডের ভুল ব্যবহারের জেরে তৈরি হতে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা।
এই মুহূর্তে রাজস্থানে ১০০-র রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত। তাদেরকে সোয়াই মান সিং হাসপাতালে আলাদা একটি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। রাজ্যে দ্রুত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রান্তের সংখ্যা দেখে রাজস্থান সরকারও এটিকে অতিমারি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসের লক্ষ্মণ দেশে প্রথম দেখা গিয়েছিল মহারাষ্ট্রে। যেখানে কোভিড থেকে সেরে ওঠার পথে একাধিক রোগী একসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই ছত্রাকবাহিত রোগে। আক্রান্ত বেশ কয়েকজন দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছিলেন। যেভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একের পর এক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকমহলে। পশ্চিমবঙ্গেও ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।