নয়াদিল্লি:  আজ ১৪ নভেম্বর দিনটি বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস।  প্রত্যেক বছরই  এই দিনটিতে ডায়বেটিস রোগ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে সারা বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা এর কারণ। বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবসে দেখে নেওয়া যাক-এবারে  থিম, ইতিহাস ও তাৎপর্য। 


বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস ২০২১:  থিম


ডায়েবেটিস চিকিৎসার সুবিধা-এখন না হলে, কখন?-এটাই হল এ বছরের বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস ২০২১-২০২৩-এর থিম।  ডায়েবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের অভিযানে বিশেষ একটি থিম এক বা তার বেশি বছরের জন্য বেছে নেওয়া হয়। 


বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস ২০২১:  ইতিহাস


বিশ্বজুড়ে ডায়েবেটিস রোগে আক্রান্তদের বাড়বাড়ন্তের প্রেক্ষাপটে ১৯৯১-এ  ইন্টারন্যাশনাল ডায়েবেটিস ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (হু) এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়।  আইডিএফ হল ১৭০ দেশ ও অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২৩০ টি জাতীয় ডায়েবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের আমব্রেলা সংস্থা। 
১৯৯১-এ এই দিবসের সূচনা হলেও ২০০৬-এ বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস রাষ্ট্রপুঞ্জের সরকারি শিলমোহর পেয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস স্বীকৃতি পায়। 


১৪ নভেম্বর হল স্যর ফ্রেডারিক ব্যান্টিংয়ের জন্মদিন। এই মেডিক্যাল বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে ১৯২২-এ ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর জন্মদিনকেই বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন লিওনার্ড থম্পসন।


বিশ্ব ডায়েবেটিস দিবস ২০২১: তাৎপর্য


সারা বিশ্ব জুড়েই কোটি কোটি মানুষের কাছে উদ্বেগের বিষয় ডায়েবেটিস।  সারা বিশ্বে ডায়েবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৭ মিলিয়নের বেশি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই বিপজ্জনক রোগটি সম্পর্কে দরকারি তথ্য যাতে যথাযথভাবে প্রসারিত হয়, তা নিশ্চিত করাই এই দিবসের উদ্দেশ্য।
এই রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি এই জটিল রোগের সমস্যা যাতে যত্ন সহকারে সমাধান হয়, সেজন্য রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ ও মানুষ যাতে তাঁদের স্বাস্থ্যের উপযুক্ত খেয়াল রাখেন, তাও এই দিবস পালনের লক্ষ্য।