কলকাতা: ক্যানসার। রোগটির নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আতঙ্ক। বিভিন্ন বয়সে, বিভিন্ন কারণে এই রোগের কোপে পড়তে পারেন যে কোনও ব্যক্তি। ইদানিং, ব্যাপকহারে ক্যানসারের কথা শোনা যাচ্ছে। আমার-আপনার পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। অনেকেই কিন্তু চিকিৎসার মাধ্য়মে সুস্থ জীবনে ফিরেও এসেছেন। ডাক্তাররা বলে থাকেন, সুস্থ হওয়ার হারটাও কম নয়। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা (Awareness) এবং সময়ে চিকিৎসা শুরু করা। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সচেতনতাই মূল অস্ত্র বলে জানিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।


হেড অ্যান্ড নেক (Head and Neck Cancer):
একাধিক ক্যানসারে মধ্যে অন্যতম ঘাতক মাথা ঘাড়ের ক্যানসার। এখান থেকে গলায় (Throat), ভোকাল কর্ড, মুখ এরকম অঙ্গে ক্যানসার (Cancer) ছড়িয়ে পড়ে। তথ্য বলছে ভারতে এই ধরনের ক্যানসারের প্রকোপ দেখা যায়। আগেভাগে সতর্ক হলে এর চিকিৎসা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।


কোথায় বাড়ে ঝুঁকি:
জীবনযাত্রার ধরন এবং খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে ক্যানসারের প্রকোপের সম্পর্ক যে রয়েছে তা বহু গবেষণায় উঠে এসেছে। বেশকিছু অভ্যাস Head and Neck Cancer-এর ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।


তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার: গুটখা, পানমশলা থেকে বিড়ি-সিগারেট, বিভিন্নভাবে তামাকের (Tobacco) নেশার চল রয়েছে ভারতে। অধিকাংশ ক্যানসারের রোগীর সঙ্গে তামাকজাত নেশাদ্রব্যের অভ্যেসের যোগ পাওয়া যায় বলে জানান চিকিৎসকরা।


মদ্যপানের অভ্যাস: শুধুমাত্র মদ্যপান (Alcohol) করলে ক্যানসারের ঝুঁকি  তুলনায় কম থাকে। কিন্তু যাঁরা মদ্যপানের সঙ্গেই ধূমপানও করে থাকেন। তাঁদের Head and Neck Cancer-এর ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।


এছাড়াও, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের (Oral Health) প্রতি খেয়াল না রাখা, পুষ্টির অভাবও এই ক্যানসারে পিছনে কাজ করে বলে মনে করে থাকেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


উপসর্গ:
এই রোগের একাধিক উপসর্গ (Symptoms) দেখা যায়। অনেকক্ষেত্রেই অনেক উপসর্গ দেখেও বিশেষ সচেতন হন না অনেকেই। সেই গাফিলতি থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার। কান বা নাকে কোনও অস্বস্তি, মাড়ি (Gum) বা চোয়ালে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া। জিভে (Tounge) বা মাড়িতে ঘা হলে সেটা কোনওভাবেই না কমা। এরকম একাধিক উপসর্গ রয়েছে। খাবার বা জল গিলতে কষ্ট হলেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।


অকারণ আতঙ্ক নয়:
এই উপসর্গ যে সবসময়েই ক্য়ানসারের ইঙ্গিত তা একেবারেই নয়। কিন্তু আগে থেকে ডাক্তার দেখালে ক্যানসারে (Cancer) পরিণত হওয়া রোখা যায়। অথবা আগে থেকেই ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরে আসা সম্ভব। তবে সবার আগে তামাকজাত দ্রব্যের নেশা ছাড় সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ বলে জানান চিকিৎসকরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ফের দাপট দেখাচ্ছে করোনা, প্রায় ৬৬% বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও