নয়াদিল্লি: সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে টিকার কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত। যে কোনও বয়সী নাগরিকদের জন্য়ই টিকা গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই বলে থাকেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। একাধিক সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য জন্মের পরেই টিকা দেওয়া হয় শিশুদের। টিকার গুরুত্ব এবং টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতার প্রসারের জন্য়ই প্রতিবছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পালিত হয়ে থাকে ওয়ার্ল্ড ইমুনাইজেশন উইক (World Immunization Week)। এই বছর  ওয়ার্ল্ড ইমুনাইজেশন উইকের থিম 'Long Life for All'


কবে শুরু পথ চলা:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি নির্ধারক কমিটি হল বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাসেম্বলি (World Health Assembly), ২০১২ সালের মে মাসে প্রথম এই সপ্তাহ পালনের পৃষ্ঠপোষকতা করে তারা। ২০১২ সালের আগে, এই দিনটি বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে পালিত হতো। প্রথম ২০১২ সালে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে একই সময়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড ইমুনাইজেশন উইক (World Immunization Week)। 


গুরুত্ব কোথায়?
যে কোনও ছোঁয়াচে রোগের গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজন টিকাকরণ। সংক্রমণ দূরে রাখতে বা সংক্রমণের প্রভাব কম করতে সাহায্য করে টিকা। প্রতিবছর এই বিশেষ সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনের সঙ্গে মিলে টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা। বিভিন্ন দেশে টিকাকরণের কাজ ঠিকমতো চালাতে এবং পরিকাঠামোগত সাহায্য করার কাজ করে হু। 


কোভিডকালে গুরুত্ব: 
গত কয়েক বছর ধরে বারবার কোভিড সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা বিশ্ব। অবশেষে শুরু হয়েছে কোভিড টিকাকরণ। যদিও টিকাকরণ নিয়ে বহু সমস্যা রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, আমেরিকায় টিকাকরণ বিরোধী প্রচার হয়েছে। টিকা নিতে না চেয়ে মিছিল হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের ওয়ার্ল্ড ইমুনাইজেশন সপ্তাহ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সময়ে সময়ে টিকা নেওয়া, সময়ে প্রয়োজনীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়েও এবার সচেতন করা হচ্ছে। কোভিডের পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলে এসেছে বিশ্বের সব বাসিন্দাদের কাছে টিকার সুবিধা পৌঁছয় না। টিকাকরণে চরম বৈষম্যের ছবিটাও বারবার তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই বিশেষ সপ্তাহে সেই দিকেও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়। 


সঙ্গী আরও অনেকে:
টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা, বিশ্বের সব কোণায় টিকা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই করে থাকে না। এর সঙ্গে কাজ করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও। Gavi, vaccine alliance-এর মতো সংগঠনের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইউনিসেফের (UNICEF) তরফেও একটি প্রচার শুরু হয়েছে, যার নাম 'সবার জন্য ভ্যাকসিন' (Vaccine for All). বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কাছে টিকার পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলস চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।   


আরও পড়ুন: ১০ বছরে ১৭ লক্ষ সংক্রমণ! ভারতে এখনও এইচআইভির থাবা?