নয়াদিল্লি: সরকারি স্তরে সচেতনতা প্রচার চলে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে প্রচার চালানো হয় এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ নিয়ে সচেতন করতে। তারপরেও ভারত থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলা যায়নি এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা। সম্প্রতি আরটিআই-আইনে করা একটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমেই সামনে এসেছে এই তথ্য।
কী বলা হয়েছে?
RTI-এ করা প্রশ্নের উত্তরে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইশেজশন (National AIDS Control Organization) জানিয়েছে, গত ১০ বছরে ভারতে নতুন করে এইচআইভি সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ লক্ষেরও বেশি নাগরিক। মূলত অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের কারণেই এটা হয়েছে। যদিও দশ বছরের প্রতিটা বছর ধরে হিসেব করলে ধীরে ধীরে কমেছে এইচআইভি (human immunodeficiency virus) সংক্রমণের গতি। ২০১১-১২ সালে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের কারণে প্রাড়াই আড়াই লক্ষ নাগরিক সংক্রমিত হয়েছিলেন। সেখাানে ২০২০-২১ সালে সেই সংক্রমণের সংখ্যা নেমে এসেছে ৮৫ হাজারে। ফলে দেশে সংক্রমণের গ্রাফ টানা কমছে বলেই জানানো হয়েছে তথ্যে। ২০২০ সাল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী এখন দেশে ২৩ লক্ষের একটু বেশি সংখ্যক নাগরিক এইচআইভি সংক্রমণ যুক্ত। যাদের মধ্যে আশি হাজারেও বেশি শিশু রয়েছে।
কে করেছেন RTI:
মধ্যপ্রদেশের এক সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌর ভারতে এডস সংক্রমণের তথ্য জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
কোন রাজ্যে উদ্বেগ:
এইচআইভি সংক্রমণের তথ্য বলছে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। তালিকায় পরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাত।
কীভাবে সংক্রমণ:
অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক ছাড়াও রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমিত হয়। এছাড়া মায়ের থেকে শিশুর মধ্য়েও সংক্রমণ ঘটতে পারে। আরটিআইয়ের উত্তরে বলা হয়েছে, ২০১১-১২ থেকে ২০২০-২০২১ সালে পনেরো হাজার এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে রক্ত ট্রান্সমিশনের (Blood Transmission) মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটেছে। ওই একই সময়ে বেশ কিছু সংখ্যক এমন সংক্রমণ ঘটেছে যা মায়ের থেকে শিশুর দেহে হয়েছে। এইচআইভি সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য অত্য়ন্ত গোপনীয় রাখা হয়। কোনওভাবেই আক্রান্তের পরিচয় সামনে আনা হয় না। আক্রান্তের থেকে তথ্য নিয়ে কাউন্সিলর জেনে থাকেন যে কীভাবে সংক্রমণ হয়েছে।
এইচআইভি এবং এডস:
HIV (human immunodeficiency virus) এমন একটি ভাইরাস যা সংক্রমণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়। ঠিকমতো চিকিৎসা না করলে এটিই AIDS (acquired immunodeficiency syndrome)-এ পরিণত হয়। সাধারণত HIV সংক্রমণের কিছুদিনের মধ্যে জ্বর, গলাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়। পরে আর তা দেখা যায় না। পরে এডস-এর উপসর্গ ফিরে আসে। সেই সময় ওজন কমে যাওয়া, জ্বর, ঘন ঘন কোনও রোগের সংক্রমণ হওয়ার মতো লক্ষ্ণণ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ঢেউ কি আতঙ্কের হবে ? বুস্টার ডোজই হবে নির্ণায়ক ?