কলকাতা: কেউ যখন জিজ্ঞেস করে 'ভাল আছেন', অনেকসময়ই হয় মনে কষ্ট লুকিয়েই হয়ত আমরা বলে থাকি, 'ভাল আছি'। কিন্তু পর মূহুর্তেই যখন নিজের কাছে জানতে চাই সত্যিই কি ভাল আছি? উত্তর আসে- না। আসলে সচেতন ও অবচেতনে এমন বেশ কিছু খেলা চলতে থাকে যা নিয়ে আমরা মানসিকভাবে স্ট্রেস নিয়ে ফেলি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায়, আমরা আসলে যত বেশি বাড়তি চিন্তা নেব, তত বেশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে থাকব।


জীবনে চলতে গেলে চিন্তা থাকবেই, তাকে এড়িয়ে বা সরিয়ে এগোনো অসম্ভব। কিন্তু কীভাবে সেই চাপ মোকাবিলা করে সচেতন ও অবচেতনেও ভাল থাকতে পারব আমরা তা জেনে নেওয়া যাক আজকের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে। ১৯৯২ সালে প্রথমবার এই দিনটি পালন করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতি বছরই এই ১০ অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 






 


শরীরের যেমন একটা মন হয়, তেমনই মনেরও একটি শরীর রয়েছে। সেই শরীরেরও রোগ হয়, অসুখ হয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ভীষণ দরকার। সুস্থ-সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে গেলে সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেহ ও মন সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত এক্সারসাইজ, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা খুব প্রয়োজন। 


চিন্তাকে সঙ্গে নিয়ে ভাল থাকতে গেলে হাসিও কিন্তু সমানভবাবে দরকার। হাসতে ভুলে গেলে হবে না। মন খারাপ হলেও মজার কিছু কথা, কিছু দৃশ্য মনে করে নিজের মনে হাসুন, দেখবেন কতটা হালকা লাগে। এছাড়াও, প্রতিদিন অন্ততঃ একটি গান শুনুন। গান মানসিক চাপ কমায়। গান ব্রেনে ডোপামিন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে থাকে, যা আপনার মুডকে উজ্জীবিত করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। 






যদি মনে হয় খুব চাপ লাগছে মনের উপর, ভাল লাগছে না একদম সেক্ষেত্রে ব্রিথিং এক্সারসাইজ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়্যাম করতে পারেন। লম্বা করে দম নিন এবং ধীরে ধীরে দম ছেড়ে দিন। এই ব্যায়ামটি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। কিংবা ডায়রিও লিখতে পারেন। যে কথা কারওকে বলা যায় না, তা লিখে কিন্তু অনেকটা শান্তি পাওয়া যায়। সে লেখার পাঠকের দরকার নেই। কেবল মন উজার করে লিখুন। তবে চিন্তা নিয়ে বসে থাকবেন না। নিজেকে সুঅভ্যাসে ভাসিয়ে দিন। 'রাজার অসুখ' গল্পটি মনে আছে? জানবেন মনের অসুখই সবথেকে বড় অসুখ। নিজেকে মন থেকে ভাল করাই আজ অঙ্গীকার হোক।