Hangover Problems: যাঁদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই সঙ্গী হয় হ্যাংওভার (Hangover)। বিশেষ করে যাঁরা কালেভদ্রে অ্যালকোহল সেবন করেন তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে হ্যাংওভার। তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি গা-গোলানো, বমি ভাব, ঝিমানি ভাব- এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। হ্যাংওভার কাটাতে মূলত মাথা ব্যথা কমাতে অনেকেই পেনকিলার খেয়ে থাকেন। তবে হ্যাংওভার সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকাও বেশ কাজে লাগে। এক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাবেন আপনি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং ওষুধ খাওয়াও দরকার। তবে অনেক সময়েই ঘরোয়া টোটকার সাহায্যেই হ্যাংওভারের সমস্যা কমে যায়। 


হ্যাংওভার কাটানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে কী কী করতে পারেন, দেখে নিন একনজরে



  • হ্যাংওভারের কারণে তীব্র মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে সেই সময় একটু বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। খুব দরকার হলে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। অন্যথায় চুপচাপ কোনও ঘরে বসে থাকুন। আলোর থেকে দূরে থাকলেও অনেকসময় মাথা যন্ত্রণা কমে যায়। এই সময় যতটা সম্ভব ফোন, গ্যাজেট ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। 

  • অনেকেই হ্যাংওভারের সমস্যা কাটানোর জন্য লেবুজল খান। এক্ষেত্রে জলের মধ্যে পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য বিটনুন। হাল্কা গরম জল খেতে পারলে ভাল। তবে খালি পেটে এই পানীয় না খাওয়াই ভাল। তার ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

  • বডি ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতি হলে হ্যাংওভারের সমস্যা একলাফে বাড়তে পারে। অতএব কোনও ভাবেই শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। অ্যালকোহল খাওয়ার পর অর্থাৎ মদ্যপানের পর প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে হ্যাংওভার থেকে সহজে নিস্তার পাবেন।

  • হ্যাংওভার কাটানোর সবচেয়ে ভাল ওষুধ হল বিশ্রাম। আর সঠিকভাবে বিশ্রাম সম্ভব পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে। তাই অ্যালকোহল সেবনের পর অন্তত সেদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। পারলে আর একটু বেশি সময়ও ঘুমোতে পারেন। 

  • ব্রেকফাস্ট একেবারেই বাদ দেবেন না। কারণ হ্যাংওভার থাকলে সেই সঙ্গে যদি খালি পেটে থাকেন তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। স্বাস্থ্যকর খাবার ব্রেকফাস্ট অর্থাৎ জলখাবারে খেলে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল সঠিক থাকবে এবং শরীরে অ্যালকোহলের প্রভাব বা এক্ষেত্রে হ্যাংওভার কেটে যাবে।

  • চা-কফি খেলে, এই দুই পানীয়ও হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ক্যাফাইন হ্যাংওভার কাটায়। শুধু তাই নয় হ্যাংওভার থাকলে সেই সময় চা বা কফি খেলে মাথার যন্ত্রণায় উপশম হয়। চটজলদি কিছুটা আরাম পাবেন আপনি। 

  • এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে পারেন এবং অ্যালকোহলের সঙ্গে অতিরিক্ত তেলমশলাযুক্ত ভাজাভুজি খাবার না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। 


আরও পড়ুন- সুগারের রোগীদের আখের রস পান করা উচিত ?