Morning Tips: অনেক সময়েই দেখা যায় দিনের শুরুতে ঘুম থেকে উঠে আমাদের আলস্য (Lazyness) লাগছে। কাজ করার শক্তি পাচ্ছেন না। শরীরে যেন কোনও জোর নেই। অনেকের ক্ষেত্রেই এইসব লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত একটি ভীষণ পরিশ্রমের (Hectic Day) দিনের পর ঠিকভাবে ঘুম না হলে এ জাতীয় সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটা নতুন সকাল (Morning Tips) মানে একটা নতুন দিনের শুরু। ঘুম থেকে ওঠার পর সারাদিনটা যাতে ভালভাবে কাটাতে পারেন তার জন্য সহজ কয়েকটি কৌশল প্রতিদিন মেনে চলতে পারেন।
মেডিটশন বা ধ্যান- কর্মক্ষেত্রে যাঁরা খুব ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার একটা কাজের দিন শুরু করায় অনেকসময় আলস্য অনুভব করেন। কিন্তু এমনটা হলে তো চলবে না। সারাদিন ভালভাবে কাটাতে হবে। মন দিতে হবে কাজেও। অফিসের কাজ হোক কিংবা বাড়ির কাজ, কোনওটাই অবহেলা করা যাবে না। তাই ঘুম থেকে কিছুক্ষণ নিজেকে সময় দিন। মনঃসংযোগ অর্থাৎ মেডিটেশন অভ্যাস করুন। এর ফলে মন শান্ত, ধীরস্থির থাকবে। ঠান্ডা মাথায় সারাদিনের জন্য পরিকল্পনা করতে পারবেন আপনি। প্রথমে অনেকক্ষণ মেডিটেশন করতে পারবেন না। মনঃসংযোগ করার সময় ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। প্রথমে ৫ মিনিট দিয়েই শুরু করুন। তারপর আস্তে আস্তে সময় বাড়াতে হবে। মেডিটেশন বা মনঃসংযোগ করার সময় শ্রুতিমধুর কোনও মিউজিক চালিয়ে রাখতে পারেন।
সারাদিন কী কী করবেন ছকে নেওয়া দরকার- সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেওয়ার পর কাগজ পেন নিয়ে বসে পড়ুন। সারাদিনে আপনার কী কী কাজ রয়েছে সেগুলো এক জায়গায় লিখে নেওয়া প্রয়োজন। শুধু কাজের তালিকা লিখলেই হবে না। কোন কাজ কখন করবেন সেই দিকেও নজর দিতে হবে। কোনও কাজ ফেলে রাখবেন না। এর ফলে আপনারই অসুবিধা হবে।
মন দিন যোগাসনে- সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মেডিটেশনের পাশাপাশি যোগাসনও অভ্যাস করতে পারেন। বাড়িতেই সহজ কিছু আসন অভ্যাস করা সম্ভব। প্রথমেই জটিল কোনও যোগাসন অভ্যাস করতে যাবেন না। একা একা তো একেবারেই নয়। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং চোট আঘাত পেতে পারেন আপনি। তাই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তারপর এগনো উচিত।
সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে দিনের শুরুতে সঙ্গী হোক জল- সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে। তাই বলে খালি পেটে একসঙ্গে অনেক জল খেয়ে ফেললে গা গোলাতে পারে। সকালবেলায় অনেকেই গরম জল খান। তার সঙ্গে পাতিলেবুর রস আর মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এই পানীয় হজমশক্তি বাড়ায়। প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। অন্ত্রের সমস্যা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে যায়।
আরও পড়ুন- আসছে শীত, সুস্থ থাকতে পাতে কোন কোন শাক-সবজি রাখবেন? রইল তারই তালিকা