Life Your Mood: অফিসে কাজের চাপ হোক বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা কিংবা পারিবারিক অশান্তি, মাঝে মাঝে আমাদের মন-মেজাজ খারাপ (Mood Swings) হয়। অনেক সময় আবার এমনিও হয়তো একটু মানসিক চাপে (Mental Stress) থাকেন আপনি। এই সময়েই বিভিন্ন জিনিস আপনাকে আনন্দ দিতে পারে। যেমন- ভাল গান শুনলে মন ভাল হয়। যাঁদের পরার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা ভাল কোনও লেখা পড়লে মানসিক অশান্তি দূর হয়। তবে শুধু এইসব অভ্যাস নয়, প্রতিদিন কিছু জিনিস খেলেও আপনার মন ভাল থাকবে। মন খারাপ হলেও এইসব খাবার খেতে পারেন। এর ফলে আপনার মন ভাল হতে পারে। কোন কোন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনার মন ভাল থাকবে একনজরে দেখে নিন।
ডার্ক চকোলেট- চকোলেটের নাম শুনলে মুখে হাসি ফোটে না এমন লোকের সংখ্যা নেহাতই হাতেগোনা। মন ভাল রাখার অন্যতম উপকরণ হল চকোলেট। তবে স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখতে হবে। চকোলেট অতিরিক্ত ওজন বাড়ায়। তাই মন খুশি রাখতে হলে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। এর মধ্যে রয়েছে healthy flavonoids। আপনার মস্তিষ্ক সক্রিয় এবং সজাগ রাখতে এই উপকরণ সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে যাতে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে এইসব flavonoids। যদি আপনার ইনফ্লেমেশন বা অ্যাসিডিটি জাতীয় সমস্যা থাকে তাহলে সেটাও কমিয়ে দেয় ডার্ক চকোলেট। তবে কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। অতএব বুঝেশুনে ডার্ক চকোলেট খাবেন।
কলা- জলখাবারে অনেকেই বাচ্চাদের কলা দেন। টিফিনেও বেশ জনপ্রিয় এই ফল। অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে কলা। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬। এই ভিটামিনের সহায়তায় আপনাকে feel good experience দেওয়ার মতো neurotransmitters নিঃসরণ হয়। এই তালিকায় রয়েছে ডোপামিন এবং সেরোটনিন। এর ফলে আপনার মন ভাল থাকবে।
ওটস- স্বাস্থ্যকর জলখাবার হিসেবে ওটস বা ওটমিলের জুড়ি মেলা ভার। এই খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এইসব ফাইবার আপনার এনার্জি লেভেল উচ্চ পর্যায়ে রাখে। সহজে ঝিমিয়ে পড়বেন না আপনি। মন-মেজাজ চাঙ্গা থাকবে।
বিভিন্ন বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার- এইসব nuts and seeds- এর মধ্যে ভরপুর ফাইবার থাকে। এর সাহায্যে tryptophan- এর যোগান পাওয়া যায়। এই উপকরণ আবার মন ভাল রাখার neurotransmitters যেমন serotonin নিঃসরণে সাহায্য করে। আসলে tryptophan হল একটি amino acid, যা এইসব mood enhancing neurotransmitters নিঃসরণে সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- শীতের মরসুমে বাড়ে দূষণ, কীভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখবেন, রইল সহজ কিছু টিপস