Late Night Dinner: রাতে দেরি করে ডিনার করার অভ্যাস আমাদের শরীরে ডেকে আনে অনেক সমস্যা। আপনি কি খাবার খাচ্ছেন, সেটা যেমন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই আপনি কখন খাবার খাচ্ছেন সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনেকক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকলেও আমাদের স্বাস্থ্যের উপর তার প্রভাব পড়ে। এছাড়াও অনেক রাত করে ডিনার করলেও আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি হতে বাধ্য। দু-একদিন অনিয়ম হতে পারে। তবে লাগাতার এই অভ্যাস থাকলে তা সমস্যা তৈরি করবে।
অনেক রাতে ডিনার, বদহজম হতে বাধ্য
বেশি রাত করে খাবার খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দেবেই। আর বদহজম হলে তার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেট আইঢাই করা - এইসব অসুবিধাও দেখা দেবে আপনার শরীরে। তাই রাতে দেরি করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। নাহলে খাবার হজম করার শক্তি ক্রমশ কমবে। আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যও দুর্বল হয়ে যাবে।
রাতে দেরি করে খাবার খেলে সমস্যা হবে ঘুমের
দেরি করে ডিনার করলে এবং লাগাতার এই অভ্যাস বজায় থাকলে তীব্র অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগতে আপনি বাধ্য। রাত বাড়লেই অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা বাড়বে। গলা জ্বালা করতে পারে। শরীরে অন্যান্য অনেক অস্বস্তিই অনুভূত হতে পারে। আর এর জেরে ব্যাঘাত ঘটবে ঘুমের। রাতের ঘুম সঠিক ভাবে না হলে সারাদিন কী অবস্থা হয়, তা অনেকেই জানেন। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হয়ে যান।
রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস ঝুঁকি বাড়ায় হার্ট অ্যাটাকের
হৃদযন্ত্রের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের তো বটেই, এমনিতেও হার্টের সমস্যা এড়াতে চাইলে রাত করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতেই হবে। বেশি রাত করে ডিনার করলে শরীরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহজনিত সমস্য বাড়বে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে হৃদযন্ত্র বা হার্টের উপর। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেল- এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তীব্র ভাবে।
লেট নাইট ডিনারের অভ্যাস, বাজে ভাবে দেখা দিতে পারে পেটের নানা সমস্যা
অর্থাৎ দিনের পর দিন অনেক রাত করে ডিনার করলে তার অনেক প্রভাবই শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য বেশ খারাপ। পেটের সমস্যায় প্রবল ভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হবে আপনাকে। পেটে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করতে পারে আপনি।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।