৪০ বছর বয়সেই কারও থমকে গেছে স্বপ্নের উড়ান। কারও জীবন স্তব্ধ হচ্ছে ৩০ এর আগেই। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, স্ট্রেসই কি ডেকে আনছে হার্ট অ্যাটাক, অকাল মৃত্যু? নাকি অন্য কোনও কারণ? শরীরের দিকে সবসময় নজর। নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকা মানুষেরও হার্ট অ্যাটার হচ্ছে হঠাৎ করে। হয়ত আগে কোনও অসুস্থতার লক্ষণ টের পাননি তিনি। সত্যিই কি তাই? নাকি লক্ষণগুলি চিনতে পারছে না মানুষ? একটা সময়ে বলা হত, হার্ট অ্যাটাক হয় বয়স্কদের। কিন্তু, সম্প্রতি হৃদরোগে অল্পবয়সীদের মৃত্যুর হার যেভাবে বাড়ছে, তা দেখে অনেকেরই হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে।
তবে হার্ট অ্যাটাক যে সবসময় হঠাৎ করেই আসে এমনটা নয়। কিছু লক্ষণ আছে,যা এক বছর আগেও জানান দেয়। তবে, এই লক্ষণগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ না-বুঝে উপেক্ষা করে। চিকিৎসকদের অনেকের মতে, হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হয় না, শরীর প্রায়ই অনেক আগে থেকেই সংকেত পাঠায়। এখন ভারতে হৃদরোগ একটি স্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়। তথ্য বলছে, দেশে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। হৃদরোগ এখন আর বয়স্কদের রোগ নয়। এখন তো কমবয়সী পুরুষ, মহিলা এবং শিশু সকলেই প্রভাবিত হচ্ছে এই অসুখে।
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগের দিন বা সপ্তাহগুলিতে অস্বাভাবিক ক্লান্তি লাগে। বুকে অস্বস্তি বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ অনুভব হয়। এই লক্ষণগুলি এতটাই হালকাভাবে জানান দেয় যে, প্রাথমিকভাবে এগুলি সনাক্ত করা কঠিন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই রোগের তীব্রতা প্রতিরোধের জন্য এই লক্ষণগুলি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লক্ষণগুলি বুঝলে, চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতেই হবে।
- বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
- শ্বাসকষ্ট
- হাতের ওপর দিক, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল বা পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি
- হালকা মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা
- কুলকুল করে ঘেমে যাওয়া
- বমি বমি ভাব ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।