Bad Cholesterol: কোলেস্টেরল বিশেষ করে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে, হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব পড়বে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে। বাড়িতে সহজ কিছু নিয়ম মেনে কীভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবেন, দেখে নিন। 

  • শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিশেষ করে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন শরীরচর্চা করতেই হবে। যেভাবেই হোক শরীরকে নড়াচড়ার মধ্যে রাখা জরুরি। যোগাসন, জিম, হাঁটাচলা, জগিং, দৌড়ানো, রি-হ্যান্ড একসারসাইজ, কোলেস্টেরল কমাতে সবই সাহায্য করে। যাঁরা জিম করবেন তাঁরা সতর্ক থাকুন। প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া, নিজে থেকে কিছু করতে যাবেন না। তাতে চোট-আঘাত পেতে পারেন। আর নিজের শরীরের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা করতে যাবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 
  • কী খাবার খাওয়া হচ্ছে তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে কোলেস্টেরলের মাত্রা। তৈলাক্ত খাবার, ভাজাভুজি বাদ দিতে হবে মেনু থেকে। ফাইবার ও হেলদি ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও খেতে পারেন প্রোটিন জাতীয় খাবার। তবে শরীরে কোনও উপকরণেরই আধিক্য কিংবা ঘাটতি হওয়া চলবে না। 
  • অতিরিক্ত স্ট্রেস, উদ্বেগের কারণে বাড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা। অতএব স্ট্রেস হলে তা কমানো জরুরি। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। স্ট্রেস উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করবে শরীরচর্চার অভ্যাস। রোজ সকালে মিনিট ১৫ মেডিটেশনও করতে পারেন। 
  • পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন রোজ। নাহলে অবশ্যই বাড়বে কোলেস্টেরল। তাই রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। রাতের ঘুম ঠিকভাবে না হলে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে আপনার শরীরে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়বে। 
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দেওয়া প্রয়োজন। পারলে কখনই অ্যালোকোহল খাবেন না। 
  • অতি অবশ্যই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। তবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা। কমবে ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ। 
  • কোলেস্টেরল কমাতে চাইলে চিনি জাতীয় খাবার বিশেষ করে প্রসেসড সুগার একেবারেই বাদ দিতে হবে ডায়েট থেকে। চায়ে চিনি খাওয়ার অভ্যাসও ত্যাগ করাই ভাল। 
  • ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার যেমন ফ্যাট যুক্ত মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এগুলো খেলে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা। তবে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। বেশি খেলে সমস্যা বাড়বে। 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আপনার ওজন ঠিক থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরে গেলে সার্বিক ভাবেই সুস্থ থাকবেন আপনি। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।