Scalp Health: আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের (Hair Health) খেয়াল রাখার পাশাপাশি একই ভাবে মাথার তালু (Scalp) অর্থাৎ স্ক্যাল্পের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আমাদের স্ক্যাল্পে যদি সমস্যা দেখা যায়, কোনও সংক্রমণ হয়, র্যাশ, চুলকানি, জ্বালা ভাব এসব দেখা যায় কিংবা অত্যধিক খুশকির সমস্যা হয়, মাথার তালু ভালভাবে পরিষ্কার না থাকে তাহলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যেতে পারে। চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চুলের সঠিক বৃদ্ধির (Hiar Growth) জন্য এবং সার্বিক ভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য স্ক্যাল্পেরও সঠিক ভাবে পরিচর্যা (Hiar Care) প্রয়োজন। আর চুল এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে চাইলে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে কী কী খেলে চুলের পাশাপাশি আপনার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
দিনে অন্তত একটা ফল খাওয়া অভ্যাস করুন
ফল খাওয়া সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। চুল এবং মাথার তালুর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হলেও পাতে রাখতে হবে ফল। মরশুমের যেকোনও একটা ফল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভাল। বিভিন্ন ধরনের জামজাতীয় ফল, কমলালেবু, আঙুরজাতীয় ফল- এগুলি ভিটামিন এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ। এইসব ফল খেলে আপনার চুল সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি হাইড্রেটেড অর্থাৎ আর্দ্র থাকবে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প।
মেনুতে অবশ্যই রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
চুলের এবং স্ক্যালের খেয়াল রাখার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিনের সাহায্যেই চুলের গঠন মজবুত হবে। এর পাশাপাশি সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে প্রতিদিন ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন। কুসুম সমেতই ডিম খেতে হবে। তাহলেই পুরোপুরি উপকার পাবেন। ডিমের মধ্যে শুধু প্রোটিন নয় জিঙ্ক, সেলেনিয়াম- এসব খনিজ উপকরণ অর্থাৎ মিনারেলসও থাকে প্রচুর পরিমাণে। এইসব উপকরণ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি স্ক্যাল্পের একাধিক সমস্যা দূর করে।
পাতে থাকুক সবুজ রঙের শাকপাতা
সবুজ রঙের শাকপাতা, সবজি খেলে চুল সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। চুলের গঠন মজবুত হবে। চুলের গোড়া শক্ত হবে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এইসব শাকসবজি। চুল মোলায়েম, উজ্জ্বল রাখতেও এইসব খাবার সাহায্য করে। কালে, পালংশাক- এইসব সবুজ রঙের শাকপাতা রোজের মেনুতে রাখতে পারলে ভাল। কারণ এইসব শাকসবজির মধ্যে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে থাকে। এই তিন ধরনের ভিটামিন মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চলন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি সার্বিক ভাবে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার
বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং সিডস অর্থাৎ বীজও রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে। তাহলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হবে। চুলের গঠন মজবুত হওয়ার পাশাপাশি মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়া, ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা, রুক্ষ-শুষ্ক ভাব ইত্যাদি দূর হবে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, বায়োটিন এইসব উপকরণ। এর মধ্যে চুলের এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য বায়োটিন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। উল্লিখিত সমস্ত উপকরণ হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি উন্মুক্ত করে দেয়। তার ফলে নতুন চুল গজাতে পারে এবং সঠিক মাত্রায় চুল বৃদ্ধিও পায়।
চুল এবং মাথার তালুর সমস্যা এড়ানোর জন্য মাছ খেতেই হবে
মাছ খাওয়া সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ম্যাকারেল, সার্ডিন, স্যামন- এই জাতীয় মাছগুলি খেতে পারলে আপনার ত্বক এবং চুল উভয়েই ভাল থাকবে। উল্লিখিত মাছগুলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপকরণ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অর্থাৎ যাঁদের চুল লম্বায় খুব একটা বাড়তে চায় না তাঁরা এই মাছগুলি খেতে পারেন। চুলের পাশাপাশি স্ক্যাল্পেরও খেয়াল রাখে এইসব মাছের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলি।