কলকাতা: শরীরে কোলেস্টেরল প্রয়োজন। শারীরবৃত্তীয় কাজের কারণেই একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োজন। কিন্তু সেটার মাত্রা যদি অতিরিক্ত (High Cholesterol) হয়ে যায় তাহলে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। 


কী কী কারণে বৃদ্ধি কোলেস্টেরলে?
বেশ কিছু কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খেলে, অতিরিক্ত ভাজাজাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরল লাগাম ছাড়াতে পারে। এছাড়া, ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যেসও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। অনেকসময় ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চা ঠিকমতো হয় না। সেক্ষেত্রেও বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। 


শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে তা হৃদরোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। রক্তবাহী ধমনীতে জমে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। শরীরে এর মাত্রা বাড়লে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা যায়। সেগুলো কী কী?


পায়ে ব্যথা (Pain in Leg) হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, দৌড়লে সেই ব্যথা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকার একটি লক্ষ্ণণ এটি। কোলেস্টেরলের মাত্রা অতিরিক্ত থাকলে রক্ত সংবহনে বাধা আসে, তার জন্য এমন হতে পারে।


হলদেটে রঙের ছোট ছোট Lump মতো হতে পরে দেহের নানা জায়গায়। হাতের তালু, কনুইয়ে, কোমরের দিকে বা নিতম্বে এমন হতে পারে যদি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।


যাঁদের কোলেস্টেরল পরিমিত মাত্রার থেকে অনেকটাই বেশি। তাঁদের অনেকের ত্বকে হলদে পদার্থ জমতে পারে। মূলত চোখের কাছে, হাতের তালুতে, পায়ের নীচের দিকে পিছনে এমন দেখা যায়।


চোখের উপরের পাতাতেও (Upper Eyelid) আঁচিলের মতো হতে দেখা যায়। হলদেটে-কমলা রঙের মতো হয় সেগুলি। অনেক সময় হাত বা পা ঠান্ডা (Cold Feet) হতে পারে। রক্ত সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হলে এমনটা হয়। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্ত চলাচলে বাধা দেয়।


নখেও অনেকসময় লক্ষ্ণণ দেখা যায়। নখের স্বাভাবিক রং বদল হতে পারে। পায়ের নখের বৃদ্ধির গতি কমে যায়, নখের স্বাভাবিক আকৃতি বদল হতে পারে।


কীভাবে লাগাম?
কোলেস্টেরলে লাগাম আনতে প্রথমেই নজর রাখতে হয় খাবারে। অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার বন্ধ করতে হয়। বন্ধ রাখতে হয় ফাস্ট ফুডও। অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবারও বন্ধ করতে হয়। সবজি ও ফলের পরিমাণ বাড়াতে বলেন চিকিৎসকরা। মদ্যপান-ধূমপানের মতো অভ্যাস ছাড়তে হয়। পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চারও।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: বরাদ্দ টাকা কাজে লাগিয়ে এক মাসের মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ করুন, জেলাশাসকদের বার্তা মুখ্যসচিবের