High Cholesterol Problem: কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে শুধুই হার্টের সমস্যা দেখা যায় না। একাধিক সমস্যা দেখা যায় ত্বকেও। ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে বেশি হলে ত্বকে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে, জেনে নিন। ব্যাড কোলেস্টেরল (এলডিএল)- এর মাত্রা শরীরে বাড়লে সবার আগে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু ব্যাড কোলেস্টেরল শুধুমাত্র হার্টের বা হৃদযন্ত্রের সমস্যাই তৈরি করে না। বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয় ত্বকেও। শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরল বাড়লে সবসময় ত্বকে স্পষ্ট ভাবে উপসর্গ দেখা যায় না। তবে মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায়। 


ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ত্বকে কী কী সমস্যা হতে পারে সেগুলি জেনে নিন। তাহলে বিপদ বুঝতে সুবিধা হবে। সতর্ক হতে পারবেন। 



  • ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বকের রং পরিবর্তন হতে পারে। হলদে বা কমলা ছোপ দেখা দিতে পারে। আমরা হয়তো ভাবতে পারি জন্ডিসের সমস্যা হয়েছে। তবে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেও এই সমস্যা হতে পারে। 

  • ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ফ্যাটি অ্যাসিডের লাম্প তৈরি হতে পারে আপনার ত্বকে। অতএব খেয়াল রাখা জরুরি। ত্বকে যদি অস্বাভাবিক উঁচু অংশ, ফোলা অংশ দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

  • ত্বকে আলসার হওয়ার অন্যতম কারণ ব্যাড কোলেস্টেরল। এলডিএল- এর মাত্রা বাড়লে ত্বকে আলসারের প্রবণতা দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ত্বকে জ্বালাপোড়া অনুভূত হবে। ইনফেকশন হতে পারে। 

  • ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে চোখের নীচে হলদে ছোপ দেখা দিতে পারে। একটা হলুদ স্তর দেখা দিতে পারে চোখের নীচের অংশে। ডার্ক সার্কেলের মতোই চোখের নীচের অংশে জমাট বেঁধে যাবে এই হলদেটে স্তর। 

  • ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ত্বক খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে র‍্যাশ। ক্রিম, ময়শ্চারাইজার মেখেও ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর হতে চাইবে না। এই সমস্যা হলে সতর্ক হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 

  • ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ত্বকে সাংঘাতিক ভাবে চুলকানি দেখা দিতে পারে। এতটা মাত্রায় চুলকানি হতে পারে যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না। এই লক্ষণ বা অসুবিধা দেখা দিলে অবহেলা না করে, সতর্ক থাকুন। 


আরও পড়ুন- চোখের সংক্রমণ এড়াতে, কনজাংকটিভাইটিস রুখতে, কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।