কলকাতা: স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যে যে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়, তার মধ্যে অন্যতম কোলেস্টেরলের মাত্রা। রক্তে এই মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট বা ধমনী সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের থাবা বসতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার সঙ্গে যোগ রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসেরও। চলতি কথায় সাধারণত দুইভাবে কোলেস্টেরলকে ভাগ করা হয়, good cholesterol এবং bad cholesterol. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা লাগামে রাখতে গেলে সবার আগে নজর দিতে হয় ডায়েটে। খাবারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পানীয়ও। এমন কিছু পানীয় রয়েছে, যা ডায়েটে থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা। দেখে নেওয়া যায় তারই কয়েকটি।
ওট মিল্ক (Oat Milk)
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে ওটস রাখেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওটসের থেকেও বেশি কার্যকর ওট মিল্ক। ওটসে বেটা-গ্লুকানস (beta glucans) থাকে, যা পেটে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে যা পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শরীরে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। এক কাপ ওট মিল্কে প্রায় দেড় গ্রামের কাছাকাছি বেটা-গ্লুকানস (beta glucans) থাকে।
গ্রিন টি (Green Tea)
কোলেস্টেরল লাগামে রাখার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রিন টি খাওয়া যায়। এতে একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে, যার নাম কাটেচিন (catechin). যা শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে , টানা ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গ্রিন টি খেলে তা কোলেস্টেরলের লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (Low Density Lipoprotein Level) লেভেলকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে সক্ষম।
সয়া মিল্ক (Soy Milk)
সয়াতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের (saturated fat) পরিমাণ অত্যন্ত কম। ফলে যাঁদের কোলেস্টেরলের মাত্রা ইতিমধ্যেই বেশি, তাঁদের জন্য় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই খাদ্য। সাধারণত দুধে যাঁদের সমস্যা রয়েছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হবে এমন ব্য়ক্তিরা ব্যবহার করতে পারেন সয়া মিল্ক বা চলতি কথায় যাতে সয়াবিনের দুধ বলা হয়। হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
টোম্যাটোর রস (Tomato Juice)
টোম্য়াটোয় রয়েছে লাইসোপিন (Lycopene) নামের একটি যৌগ। যা রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়ায় এবং লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (Low Density Lipoprotein)-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার ফলে শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা কম হয়।
স্টেরল ও স্ট্যানোল (Sterol and stanol rich drink)
স্টেরল ও স্ট্যানোল মূলত উদ্ভিদ থেকে আসা যৌগ, যা আসলে গঠনগত ভাবে কোলেস্টেরলের মতো। এগুলি খাবারের মাধ্যমে শরীরে শোষিত হলেও কোলেস্টেরলের মতো শরীরে জমে থাকে না, শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে এই খাবার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকান হার্ট অ্য়াসোসিয়শনের গবেষকরা বলছেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে
স্টেরল ও স্ট্যানোল যৌগ রয়েছে এমন খাবার বেশি পরিমাণে খেতে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: এই ঝোঁকের পিছনে কি পূর্বপুরুষের অবদান? নয়া গবেষণায় চমকে দেওয়া তথ্য