কলকাতা: বীরভূম থেকে কলকাতার পথে অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচারকাণ্ডে বুধবার সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে পারেন অনুব্রত, খবর সূত্রের।
বুধবার সকাল ১১টার সময়ে নিজাম প্যালেসে আসতে পারেন অনুব্রত। এর আগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার হাজিরা দেননি অনুব্রত। রক্ষাকবচ পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। তিনি হাইকোর্টে বিফল হতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখান থেকে রক্ষাকবচ না মেলার পর ফের নোটিস পাঠায় সিবিআই। তারপরেই কলকাতার পথে অনুব্রত মণ্ডল।
আগে কী হয়েছে?
গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনেকদিন ধরেই অস্বস্তিতে ছিলেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় সিবিআই তলব এড়িয়েছেন অনুব্রত। রক্ষাকবচ পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চে খারিজ বয়ে যায় তৃণমূল নেতার আবেদন। তারপর ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু সেখানেও খারিজ করা হয় অনুব্রতর আবেদন। রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই। ৪ মার্চ গরুপাচার মামলায় তৃতীয়বার অনুব্রতকে নোটিস পাঠায় সিবিআই (CBI)। এই নোটিস চ্যালেঞ্জ করেই সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন অনুব্রত। সেখানে তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেনে।
হাজিরা এড়ানো:
গরু পাচার মামলায় এর আগে বারবার সিবিআই অফিসে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে তাদের নিজাম প্যালেসের অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু হাজির হননি অনুব্রত। ১৫ মার্চ চতুর্থবার হাজিরা এড়ানোর পর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রক্ষাকবচ চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া বা হাইকোর্ট নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত রক্ষাকবচ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন: BJP করায় ফের চাষ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের