কলকাতা: আজ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (International Day Of Happiness)। জীবনে সুখের (Happiness) গুরুত্ব ও ভূমিকা মনে করাতেই এই বিশেষ উদযাপনের ভাবনা। রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) সাধারণ সভা ২০১২ সালের ১২ জুলাই এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ করে। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্র প্রথম বার আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উদযাপন করে।


আন্তর্জাতিক সুখ দিবস...
এই বছর আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের থিম ছিল, 'বি মাইন্ডফুল, বি গ্রেটফুল, বি কাইন্ড।'সুখ কী, তা নিয়ে অবশ্য আমজনতা থেকে দার্শনিক এমনকি মনোবিশেষজ্ঞদের মধ্যেও বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে।কেউ মনে করেন, সুখের অর্থ নির্মল আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দের বোধ আসে কোথা থেকে?বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুখের বোধের সঙ্গে সঙ্গতি, প্রতিপত্তি, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ইত্য়াদির মতো বিষয়টিগুলিকে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়ে থাকে।যদিও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, সুখের সঙ্গে সব সময় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের যোগ নাও থাকতে পারে। তাঁদের মতে, প্রত্যেকের মধ্যে নিজস্ব ছন্দ অনুযায়ী বিকশিত হওয়ার ক্ষমতা থাকে। কেউ যখন সেই অনুযায়ী বিকশিত হওয়ার পথে এগোতে সফল হন, তখনই প্রকৃত আনন্দের অনুভূতি হয় তাঁর।


ভারতের স্থান...
চলতি বছর ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সের যে সূচক বেরিয়েছে তাতে দেখা যায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৬। বিশ্বের চতুর্থ অসুখী দেশ এটি। শুধু তাই নয়। পড়শি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশে, পাকিস্তানের থেকেও হ্যাপিনেস স্কোরে পিছিয়ে রয়েছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের Sustainable Development Solutions Network বা SDSN যে রিপোর্ট পেশ করে তার ভিত্তিতেই ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্স তৈরি করা হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা কী ভাবে সেখানকার জীবনযাত্রা, উন্নয়ন এবং সার্বিক ভালো থাকার বিচার করছেন তার ভিত্তিতেই এই ইনডেক্স তৈরি করা হয়। বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি যাতে নিজেদের নাগরিকদের সুখ এবং অ-সুখের বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হয়, জীবনযাত্রা তথা সার্বিক ভালো থাকার মানোন্নয়নে আরও বেশি সদর্থক কাজকর্ম করতে পারে, সেই জন্যই এই রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করে থাকে SDSN। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে মাপা হয় এটি। একাধিক সূচক রয়েছে। যেমন, মাথা পিছু জিডিপি, সামাজিক জোর, জন্মের সময় স্বাস্থ্যকর জীবনের মেয়াদ, মহানুভবতা, সংশ্লিষ্ট দেশে কী ধরনের সরকার ক্ষমতাসীন, দুর্নীতি এবং স্বাধীনতা নিয়ে সে দেশরে মানুষের ধ্য়ানধারণা ইত্যাদি এর অন্যতম। গত পাঁচ বছর ধরে এই সূচকের নিরিখে ফিনল্যান্ড সকলের উপরে। তার নিচেই ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। তালিকায় সকলের শেষে আফগানিস্তান। কিন্তু ভারতের পরিস্থিতি আলাদা করে নজর কেড়েছে এবারও।


আরও পড়ুন:'কী ভাবে ভোট করতে হয় জানা আছে', বিস্ফোরক কাজল শেখ