কলকাতা: হাঁচি-জ্বর, সর্দি-কাশি- এমনই উপসর্গের ছড়াছড়ি। কখনও গলা ব্যথা, কখনও আরও কিছু কিছু সমস্যা। কারও কারও আবার শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। এখন সারা ভারতে এমনই সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখন দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট চলছে। H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা। এটিই পরিচিত হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu) নামে। মানবদেহের শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে এটি। এটি Influenza A ভাইরাস-এরই একটি সাবটাইপ। আগেও একাধিক ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের ঘটনার পিছনে দায়ী ছিল এই ভাইরাস।
এই সময়টা ঋতুবদলের সময়। আবহাওয়ার কারণেই জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। কিন্তু এবার উদ্বেগ বাড়িয়েছে হংকং ফ্লু। ভারতের নানা রাজ্যে এই সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি IMA-এর স্ট্যান্ডিং কমিটি ফর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কমিটি বলেছে যে বায়ুদূষণের কারণেও এমনটা হতে পারে।
উপসর্গ কী কী:
কোভিডের উপসর্গের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে এর। জ্বর আসছে, গলা ব্যথা হচ্ছে, সঙ্গে থাকছে কাশি। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে কাশির সমস্যা ভোগাচ্ছে। গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং অসম্ভব ক্লান্তিও এর অন্যতম উপসর্গ। অনেকের নাকি শ্বাসকষ্টের সমস্য়া বা ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে।
কী পদক্ষেপ?
চিকিৎসকরা বিশ্রাম নিতে বলছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে বলছেন। জ্বর থাকলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
নিজে নিজে ওষুধ নয়:
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খাওয়ার চল রয়েছে। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল গোত্রের ওষুধ। সব ওষুধ সব রোগের চিকিৎসায় লাগে না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে তাতে বিপদ বাড়বে। তাই যে কোনও সমস্যা নিজে থেকে ওষুধ না খাওয়ার জন্য বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাঁদের কোনও সমস্যা হলে বা উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ICMR-এর তরফে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
সর্দি-কাশি থাকলে ভিড় জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।
হাত পরিষ্কার না থাকলে নাক ও মুখ ছোঁয়া উচিত না।
হাঁচি-কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত জল ও পানীয় খেতে হবে।
জ্বর এবং তার সঙ্গে কোনও উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, তার আগে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলেও শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া মানেই কি অ্যাডিনো সংক্রমণ? বুঝবেন কীভাবে? কখন লক্ষণ ভয়ানক?