কলকাতা: অফিস যাওয়ার পথে গান চলতে থাকে কানে। অফিস থেকে ফেরার পথেও। আবার শুতে যাওয়ার সময়ও অনেকে অল্প বিস্তর গান শোনেন। গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার সকালে ঘুম থেকে কিছুক্ষণ গান চালিয়ে মুড ভাল করে নেন। কথায় বলে, দিনের শুরুটাই সারাদিনের মেজাজ ঠিক করে দেয়। তাই আর কিছু না হোক, গানটা যেন জরুরি। কিন্তু শুধুই কি মেজাজ ভাল করা (Music Benefits) ? মন ভাল করার পাশাপাশি আর কী করে গান ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান ? জেনে নেওয়া যাক।


গানের গুণে শরীর-মনের উপকার (Music Health Benefits) কী ?


মেজাজ ভাল রাখে - প্রথমেই এই বিষয়টির কথা বলে নেওয়া যাক। মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে গান। পছন্দের গান শুনলে মনের মধ্যে পছন্দের আবহ তৈরি হয়। যা মন ভাল রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে দরকার।


স্মৃতি ফিরিয়ে দেয় - গানের সঙ্গে আমাদের অনেকেরই বেশ কিছু স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। গান শুনলে সেই স্মৃতিগুলি ফিরে আসে। চিকিৎসকরাও তাই মিউজিক থেরাপি ব্যবহার করে থাকেন!


স্ট্রেস কমায় -  কাজের চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে অনেকেই গান শোনেন। এর আসল কারণ স্ট্রেস। স্ট্রেস কমাতে গানের আশ্রয় নেন অনেকে। এটা জরুরি। চিকিৎসাবিজ্ঞানও বলে, গান চাপ কমাতে সক্ষম।


অবসাদ কমায় - মানসিক অবসাদ এমন এক সমস্যা যা সারা পৃথিবী থেকে একজনকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই সমস্যায় কোনও কাজ করার মানসিকতা থাকে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পছন্দের গান শুনলে মনের মধ্যে আনন্দের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা অবসাদের সময় উপকারী হতে পারে।


কগনিটিভ কার্যক্ষমতা ভাল রাখে - কগনিটিভ কার্যক্ষমতা ফেরাতে সাহায্য করে গান। মিউজিক থেরাপি আমাদের স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে দেয়। এর ফলে স্নায়ু ক্ষতি কম হয়। যা কোনওকিছু ভেবে চিন্তে করার শক্তিকে জিইয়ে রাখে।


অ্যালঝাইমার্স রোগে উপকারী - একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গান ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্স রোগে উপকারী। এই রোগে একজনের কগনিটিভ কার্যক্ষমতা কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি স্মৃতি শক্তিও বেশ কিছুটা লোপ পায়। এই রোগের আপাতত কোনও ওষুধ নেই। কিন্তু মিউজিক থেরাপি কিছু ক্ষেত্রে স্মৃতি ফেরাতে সাহায্য করে। এমনকি এও দেখা গিয়েছে, সম্মিলিতভাবে বসে গান শুনলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে। 


আরও পড়ুন - Health Update: ফ্রিজে রাখলেই কি শাক জীবাণুমুক্ত থাকে ?