Hair Care Routine: গরমকালে আমাদের মাথার তালু (Scalp Care Tips) অর্থাৎ স্ক্যাল্পে ঘাম জমে যায়। এছাড়াও চুলের মধ্যে ঘাম জমে যাওয়া গরমের দিনে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকে গরমকালে চুলের (Summer Hair Care) হয়তো একটু বেশি খেয়াল রাখেন। কিন্তু সেভাবে যত্ন নেওয়া হয় না মাথার তালু (Hair Care Tips) অর্থাৎ স্ক্যাল্পের। আর গরমের মরশুমে সঠিকভাবে যদি স্ক্যাল্পের যত্ন নেওয়া না হয় তাহলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে চুলে। যেমন- প্রচুর পরিমাণে চুল পড়তে পারে, মাথার তালুতে র‍্যাশ, চুলকানি, জ্বালাভাব এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গরমের দিনে চুলের পাশাপাশি বিশেষভাবে স্ক্যাল্পের যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। 


এক্ষেত্রে কী কী করবেন, আর কী কী করবেন না, একনজরে দেখে নিন 



  • সবার আগে হেয়ার ড্রায়ার, ব্লোয়ার এইসবের ব্যবহার বন্ধ করে দিন। গরমের দিনে চুল শুকিয়ে নিন ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ভাবে। অর্থাৎ স্নানের পর ফ্যান চালিয়ে নিন, হাওয়ায় চুল শুকিয়ে যাবে। গরমের দিনে উত্তপ্ত আবহাওয়ার কারণে এমনিই চুল এবং স্ক্যাল্প শুষ্ক, রুক্ষ থাকে। তার উপর যদি চুল শুকানোর জন্য বিভিন্ন টুলস যেমন হেয়ার ড্রায়ার, ব্লোয়ার এইসব ব্যবহার করেন কিংবা চুলের বাহারি স্টাইলের জন্য কার্লার, স্ট্রেটনার এইসব হেয়ার স্টাইলিং টুলস ব্যবহার করেন তাহলে চুল এবং স্ক্যাল্প দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সঙ্গে চুলে দেখা দেবে একাধিক সমস্যা।

  • অনেকে চুলের জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে নেওয়ার জন্য স্নানের পর ভেজা চুলে হয়তো তোয়ালে কিংবা গামছা পেঁচিয়ে রাখেন। এর ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। একই ভাবে যদি কেউ খুব জোরে ঘষে ঘষে চুল এবং তালুর জল মুছতে থাকেন তাহলেও চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাবে। তার ফলে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। 

  • গরমের দিনেও শ্যাম্পু করার পর চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এই রুক্ষ, শুষ্ক ভাবে দূর করার জন্য চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।চুল ভেজা থাকা অবস্থায় হেয়ার সিরাম লাগাতে হবে। হাতের তালুতে অল্প সিরাম নিয়ে ঘষে নিন। তারপর আলতো হাতে লাগিয়ে নিন ভেজা চুলে। এর ফলে চুল থাকবে নরম। জট পড়বে না সহজে। 

  • শ্যাম্পুর পরে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপনার চুলের ধরন অনুসারে বেছে নিন কন্ডিশনার। শ্যাম্পু করার পর চুলের লম্বা অংশে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন শ্যাম্পু যেমন যত্ন করে ধুয়ে নিতে হয় তেমনই কন্ডিশনারও চুল থেকে ভালভাবে ধুয়ে নেওয়া দরকার। নাহলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে আপনার চুল নরম, উজ্জ্বল এবং মোলায়েম ও চকচকে থাকবে। 

  • যাঁরা রোজ বাইরে বেরোন তাঁরা চুল স্ক্যাল্পের খেয়াল রাখার জন্য গরমের দিনে পারলে রোজই শ্যাম্পু করুন। নাহলে মাথা থেকে ঘাম ধুয়ে পরিষ্কার হবে না। সেই সঙ্গে জমে থাকবে ধুলো, ময়লাও। ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। রোজ শ্যাম্পু করলে একটু হাল্কা ধরনের এবং অবশ্যই সালফার মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাল্কা শ্যাম্পু বলতে মূলত সেই ধরনের শ্যাম্পু বোঝায় যেগুলিতে ফেনা কম হবে কিন্তু চুল ভালভাবেই পরিষ্কার হবে। আর পরিমাণেও অনেকটা শ্যাম্পু ব্যবহার না করে যতটা প্রয়োজন ততটুকু শ্যাম্পুই ব্যবহার করুন। এই নিয়ম মেনে চললে চুল ভাল থাকবে। 

  • মাথার তালুতে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তবেই চুলের বৃদ্ধি, নতুন চুল গজানো, হেয়ার ফলিকলের মুখ উন্মুক্ত হওয়া এগুলি সম্ভব। আর স্ক্যাল্পে যাতে ঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তার জন্য তেল মালিশ করা প্রয়োজন। নারকেল তেল দিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। তেল হাল্কা গরম করে নিয়ে তারপর আলতো হাতে হাল্কা ভাবে স্ক্যাল্পে এবং চুলে ম্যাসাজ করতে হবে। তার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। নিয়মিত ভাবে অয়েল ম্যাসাজ করতে পারলে উপকার পাবেন। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন- খাবারেই শুরু, খাবারেই শেষ ? জীবনের সিংহভাগ রোগের নেপথ্যে কি খাবার ? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।