নয়াদিল্লি: কথায় আছে দুর্ঘটনা বলে আসে না। তাই গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানলেই এড়ানো যায় মারাত্মক বিপদ। গাড়ির ব্রেক ফেল করলে সর্বদা মাথায় রাখুন এই টোটকাগুলি।


গাড়ির ব্রেক ফেলের লক্ষণ
গাড়ির ব্রেক ফেলের অনেক আগে থেকেই নজরে আসে এই লক্ষণগুলি।আপনি দেখতে পাবেন ব্রেকপ্যাডস থেকে আওয়াজ আসছে। অনেক সময় দেখবেন ব্রেক ক্যালিপারস আটকে যাচ্ছে।এরকম সময় আশঙ্কা থাকে ব্রেকের তার ছিঁড়ে যাওয়ার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রেক খারাপ হলে মাস্টার সিলিন্ডার লিক করায় প্রয়োজনীয় প্রেসার পায় না। কোথাও বা ব্রেকের তেল লিক করার ব্রেক ফেলের আশঙ্কা বেড়ে যায়। 


গাড়ি ব্রেক ফেল করলে কীভাবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচবেন ?
এরকম অবস্থায় সবার আগে গাড়ির গতি কমিয়ে দিন। অনবরত গাড়ির ব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে থাকুন।
বার বার এই কাজ করলে ব্রেক ঠিকমতো প্রেসার পাবে ও আগের মতো কাজ শুরু করে দেবে।
গাড়ি যদি টপ গিয়ারে থাকে তাহলে তা অবশ্যই লোয়ার গিয়ারে নামিয়ে আনুন।
ভুল করেও এই সময় গাড়ি নিউট্রাল করবেন না। একবার এই কাজ করলেও গাড়ি পিছলে যেতে শুরু করবে। এরপর আর আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
এই সময় রিভার্স গিয়ারে হাত পরা মানে দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ পিছনের গাড়িকে ধাক্কা মারবেন আপনি।
এরকম একটা সময়ে এক্সিলেটরের বদলে ক্লাচ ব্যবহার করুন।
রাস্তার ভিড়ের মধ্যে থাকলে অনবরত হর্ন বাজান, রাত হলে হেডল্যাপ্প ডিপার্স, হ্যাজার্ড লাইট ছাড়াও ইন্ডিকেটরস জ্বালিয়ে দিন। যাতে গাড়িতে কোনও সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারে বাকিরা।
এই পরিস্থিতিতে গাড়ির এসি অন করে দিন। এরফলে ইঞ্জিনের ওপর প্রেসার বাড়বে, ফলে গাড়ির গতি স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে।
সামনে কাদা বা বালি থাকলে সরাসরি সেদিকে গাড়ি নিয়ে যান। এরফলে ব্রেক ফেল করলেও গাড়ির স্পিড কমে যাবে। 
১০ গিয়ার চেঞ্জের ক্ষেত্রে হ্যান্ড ব্রেক ব্যবহার করুন।
১১ গাড়ির যদি ফার্স্ট গিয়ারে ৪০ কিলোমিটার বেগে ব্রেক ফেল করে তাহলে হ্যান্ড ব্রেকেই কাজ হবে।  
১২ ভুল করেও গাড়ি বেশি গতিতে থাকলে হ্যান্ড ব্রেক ব্যবহার করবেন না। এতে গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।