কলকাতা : বংশগত কারণে হোক কিংবা জিনগত কারণে অথবা বয়স হওয়ার জন্য, বর্তমানে বহু মানুষের মধ্যেই অ্যালঝাইমার্স রোগের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা শুধু বেশি বয়সের মানুষের মধ্যেই নয়, মধ্য বয়সের মানুষের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন কারণেই স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে নজর দিলেও এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু উপায় জানাচ্ছেন, যার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে অ্যালঝাইমার্স প্রতিরোধ করে উন্নত করা যায় স্মৃতিশক্তি।
১. বিভিন্ন অসুখ-বিসুখকে প্রতিরোধ করতে খাবারে চিনি বা মিষ্টির ব্যবহার কম করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা খাবারে অত্যধিক মিষ্টির ব্যবহার করেন, তাঁদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে মিষ্টিজাতীয় খাবারের পাশাপাশি মিষ্টি পানীয়ও বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
২. সামুদ্রিক মাছ বা মাছের তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি স্ট্রেস, অবসাদ বা যে কোনও মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে মাছের তেল খাওয়া খুবই উপকারী।
৩. প্রাণায়ামের উপকারিতা অনেক। মনকে শান্ত রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ কমায়, স্ট্রেস, অবসাদের সমস্যা দূর করে। একইসঙ্গে নিয়মিত প্রাণায়াম অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়। যে কোনও বয়সের মানুষেরই নিয়মিত প্রাণায়াম অভ্যাস করা প্রয়োজন।
৪. শরীরের ওজনের সঙ্গেও স্মৃতিশক্তির একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উন্নত স্মৃতিশক্তির জন্য শরীরের ওজন যেন বয়স এবং উচ্চতা অনুয়ায়ী সঠিক তাকে।
৫. অনেক ক্ষেত্রেই দুর্বল স্মৃতিশক্তির কারণ হয় কম ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা। সারাদিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। ঘুম সঠিক হলে মস্তিষ্ক আরও সচল থাকে।
৬. স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন এমন গেমস খেলতে, যাতে মস্তিষ্ক সচল থাকা প্রয়োজন হয়। এমন অনেক গেমস আমরা খেলে থাকি, যেগুলোকে ব্রেন গেমস বলা হয়। স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সেই সমস্ত গেমস দারুণ উপকারী।