কলকাতা: একদিকে অফিস অন্যদিকে পরিবার। অনেকসময়েই বিবাহিতারা সবদিক সামলে উঠতে পারেন না। হিমসিম খান সবটা নিয়ে। এর সঙ্গে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো জাঁকিয়ে বসেছে করোনা আবহে। ঘর সামলে কাজে বসা যে খানিক অশ্বমেধ যজ্ঞেরই সামিল। সেক্ষেত্রে কয়েকটা দিক মাথায় রাখলেই মুসকিল আসান হতে পারে।
দিনের শুরুতেই একটা সিডিউল বানিয়ে নিন। কোন সময়টা কোন কাজ করবেন আগে থেকে প্ল্যান করে রাখুন। এতে কাজ অনেক সহজ হয়। লাঞ্চ বা ডিনারে কী রাঁধবেন তারও একটা হিসেব করে রাখুন।
এরপরেই প্রায়োরিটি ঠিক করুন। অফিসের নির্দিষ্ট শিফট আছে। সেই সময়ের বাইরে কাজ করতে হলে কখন কাজ করবেন, কতটা সময় কাজ করবেন আর পরিবারকে কখন সময় দেবেন তা ঠিক করে নিন। সময় করে চললে দু-দিকই ব্যালেন্স হবে।
সারাদিন কাজ নিয়ে বসে থাকবেন না। বেশি সময় নষ্ট করবেনা না। চেষ্টা করুন সময়ের মধ্যে কাজ মিটিয়ে ফেলার। আপনি যদি ইমার্জেন্সি কাজের সঙ্গে যুক্ত না থাকেন চেষ্টা করুন শিফট শেষের পর কাজের কথা মাথা থেকে বের করে ফেলার।
ভাগ করে নিন। আপনার স্বামী বা বাড়িতে থাকা অন্যান্যদের সঙ্গে কাজটা ভাগ করে নিন। কে কোন কাজ করবে আগে থেকে ছকে রাখলে কাজ অনেক সহজ হয়।
রান্নার বিষয়ে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন পঞ্চ ব্যঞ্জন রান্নার প্রয়োজন নেই। ছুটির দিনে পছন্দসই রান্না করুন। তবে বাকি দিনগুলো চেষ্টা করুন এলাহি আয়োজন না করে স্বাস্থ্যকর অথচ কম খাটুনি হয় এমন রান্না করতে।
সংসার এবং বাড়ি দুই গুছিয়া রাখার জন্য নিজেকে গুছিয়ে রাখা সবার আগে প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নিজে কখন কী করবেন তারও একটা প্ল্যান আগে থেকে ছকে রাখুন।
অফিস ফেরতা রাস্তার কাজ যেমন বাজার, দোকান ইত্যাদি সেরে নিন। এতে সময় বাঁচবে। চেষ্টা করুন ছুটির দিন বাইরে না বেরিয়ে ঘরেই সব কাজ সেরে নিতে।