কলকাতা: ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল আমলকি। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে বহুগুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।


আসুন জেনে নিই আমলকি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা-

১. আমলকি চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

২. আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৩. এক গ্লাস দুধ বা জলের মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। অম্বলের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৪. প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৫. আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ, চুলকানি বা জল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।

৬. প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে। মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

৭. নিয়মিত আমলকি সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকি বিশেষ উপকারী। ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানির জন্য আমলকির রস ভীষণ উপকারী।

৮. আমলকি শরীর ঠাণ্ডা রাখে, কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী ও মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

৯. ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে আমলকি। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।