কলকাতা: দাঁত থেকে নখ, হাড় থেকে ত্বক--সব কিছুর জন্যই যে বিশেষ পোষকপদার্থ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হল ভিটামিন ডি। বিশেষ করে হাড়ের ঘনত্ব এবং গঠন ভাল হওয়ার জন্য প্রয়োজন এই ভিটামিন। প্রাকৃতিক পায়ে ভিটামিন ডি (Vitamin D) তৈরি হয়। সূর্যের আলো ত্বকের সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কেন ভিটামিন ডি প্রয়োজন?
হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়:
একাধিক কাজে লাগে ভিটামিন ডি। তার মধ্যে অন্যতম হল হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণের কাজ করে ভিটামিন ডি। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিকমতো রাখার জন্যও প্রয়োজন এটি। হাড় ও দাঁতের গঠন ঠিক রাখার জন্য ছোট থেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া প্রয়োজন।
হাড়-সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কম:
পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি যেহেতু হাড়ের স্বাস্থ্য (Bone Health) ভাল রাখে সেই কারণে হাড়ের নানা রোগও ঠেকিয়ে রাখতে পারে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারে না শরীর। প্রয়োজনীয় খনিজ মৌলও নিতে পারে না। এরই ফলস্বরূপ হতে পারে রিকেট রোগ। যার ফলে হাড়ের গঠনে সমস্যা হয়, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। ঠিকমতো ভিটামিন ডি শরীরে গেলে এই রোগ দূরে থাকতে পারে।
দূরে থাকবে অন্যান্য রোগ:
হঠাৎ করে কোনও সংক্রমণ যাতে কাবু করতে না পারে তার জন্য কাজ করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। হাড়ের সমস্যা ছাড়াও আরও কিছু রোগ দেখা দিতে পারে ভিটামিন ডি-এর অভাবে। মাল্টিপল স্কেলেরিওসিস, টাইপ ১ ডায়াবিটিস, গ্লুকোজ ইনটলারেন্সের মতো বিষয়ও দেখা দেয়।
কোথা থেকে পাবেন পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি:
একাধিক প্রাণীজ খাদ্যের উৎসহ থেকে ভিটামিন ডি মিলতে পারে। বিশেষ করে দুধ (Milk) ও দুধজাতীয় খাদ্য এবং ডিমের কুসুম। এছাড়াও তেলাক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। মাংস থেকেও মেলে ভিটামিন ডি। সয়াবিন, বিন জাতীয় শস্য থেকেও মেলে এই ভিটামিন।
কোনও সমস্যা হলে, বা বয়স হলে নির্দিষ্ঠ সময় অন্তর বিশেষ রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে দেহের ভিটামিন ডি-র মাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: কার্বোহাইড্রেটে লাগাম-বাড়াতে হবে প্রোটিন, তাহলেই হারবে ডায়াবেটিস, বলছে রিপোর্ট