নয়াদিল্লি: ফ্যাটি লিভার। ইদানিং এই সমস্যার কথা বারবার উঠে আসছে আলোচনায়। বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিরা এই সমস্যার শিকার। স্ট্রেস, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া। অনিয়মিত জীবনযাপন- এমন নানা কারণেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে। সময়মতো দেখভাল না করলে তা থেকে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। 


মূলত দুইভাবে ভাগ করা যায় ফ্যাটি লিভারকে। একটি অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, অন্যটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। দ্বিতীয়টির বিষয়েই একটি গবেষণায় উঠে এসেছে একটি বিশেষ তথ্য। Nutrients-নামের জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। পর্তুগালের কোইমব্রা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Coimbra) এই গবেষণা করেছে। গবেষকদের দাবি, ক্যাফেইন, পলিফেনলস এবং আরও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যা কফির মধ্যে পাওয়া যায়, সেগুলি টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে পারে।


নন অ্যালকোহলিক লিভার:
এটি একটি ডাক্তারি পরিভাষা। লিভার বা যকৃৎ-এ ফ্য়াট জমার কারণে যে যে সমস্যাগুলি হয়- সেগুলিকে একসঙ্গে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (non-alcoholic fatty liver Disease) বলা হয়। এর থেকে লিভারের নানা জটিল অসুখ হতে পারে। লিভার সিরোসিস বা যকৃৎ ক্যান্সার পর্যন্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।


কেন হয়?
অতিরিক্ত মদ্যপান নয়, উচ্চ-ক্যালোরি থাকা খাবার, অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলা, উচ্চ ফ্যাটজাতীয় খাবার অনিয়ন্ত্রিত ভাবে খেলে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। 


এই বিষয়েই গবেষণা হয়। যাঁরা প্রতিদিন কফি খান, তাদের উপর গবেষণা হয়েছে। গবেষণার পরে জানানো হয়েছে ওজন বেশি এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস রয়েছে এমন যাঁরা বেশি পরিমাণে কফি খান, তাদের নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ-এর ভয়াবহতা তুলনায় কম দেখা গিয়েছে।  


কোইম্ব্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর নিউরোসায়েন্স অ্য়ান্জ সেল বায়োলজির বরিষ্ঠ গবেষক জন গ্রিফিথ জোনস (John Griffith Jones) বলেন, 'আধুনিক সময়ে ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে নানা বদল ঘটছে। যার জন্য ওবেসিটি, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। যা থেকে লিভারের আরও বড় রোগ হতে পারে। যা স্বাস্থ্য় পরিষেবার উপর চাপ তৈরি করে।'   


১৫৬ জনকে বাছাই করা হয়েছিল যাঁদের ওবেসিটি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৮ জনের টাইপ টু ডায়াবেটিস ছিল। তাঁদের কফি খাওয়ার পরিমাপে উপর লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকের মূত্রের নমুনা নিয়মিত নেওয়া হয়েছিল। শরীরে কীভাবে কফির পদার্থ ভাঙা হচ্ছে, তার প্রভাব কী পড়ছে সেগুলি মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে জানা হচ্ছিল। 


সেখান থেকেই দেখা গিয়েছে, যকৃৎ সংক্রান্ত নানা সমস্যার ঝুঁকি কমার সঙ্গে কফি খাওয়ার একটা সংযোগ রয়েছে। কফিতে থাকা পলিফেনল যকৃতের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (Oxidative Stress) কমায়। যার ফলে সিরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: স্পা-জিম থেকে নয়েজ কন্ট্রোল! ৫১ দিনের 'গঙ্গা বিলাসে' খসবে কত টাকা?