নয়াদিল্লি : চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস ( Coronavirus ) । বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । রাজধানী ( Delhi )  দিল্লিতে ফের একবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ( Covid 19 )পরিসংখ্যান। গতবছরের অগাস্টের পর, বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুসারে, দিল্লিতে ফের তিনশো পেরিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। রাজধানীতে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুও হয়েছে ২ জনের। এর মধ্যেই শুক্রবারের করোনা পরিসংখ্যান ভয় ধরাচ্ছে। 


শুক্রবারের করোনা পরিসংখ্যান
৩১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ৩,০৯৫ জন নতুন করে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।  দৈনিক  করোনার পজিটিভিটির হার ২.৬১ শতাংশ। কোভিডে  সাপ্তাহিক  পজিটিভিটের হার  ১.৯১ শতাংশ। দেশে বর্তমানে করোনার সক্রিয় কেসের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে । দেশে বর্তমানে ১৫,২০৮ জন করোনা আক্রান্ত। গত ২৪ ঘন্টায়, ১৩৯০ জন করোনা ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন। এখন মোট করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৪১,৬৯,৭১১। দেশে সুস্থ হওয়ার হার ৯৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।


কাদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি 


চিকিত্সকরা মনে করছেন, বয়স্ক মানুষদের এবার আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। সতর্কতা নিতে হবে কো- মর্বিডিটি আছে যাঁদের তাঁদেরও।  আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই  টিকা নিয়েছেন। তারপরও সংক্রমমিত হচ্ছেন। পূর্বে করোনা হওয়া ব্যক্তিরা আবারও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সতর্ক থাকতে হবে সকলকেই।  


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কী কী পদক্ষেপ


কয়েক দিন আগেই দেশের সব রাজ্যগুলিতে এবং কেন্দ্র শাসিত এলাকায় ফের সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। 'test, track, treat'- এর মাধ্যমে কোভিডবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর আগেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে কোভিড এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগেই উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলায় দেশের পরিকাঠামো কোন পর্যায়ে রয়েছে, কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তার প্রস্তুতি কেমন রয়েছে সেসবই আলোচনায় উঠে এসেছে। ওই বৈঠকেই কোভিড রুখতে ঠিকমতো কোভিড বিধি পালনের পক্ষে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও কোভিড পরীক্ষা, জিনোম পরীক্ষা, সবরকমের মাত্রাতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট এবং ওই সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেই পরীক্ষার কথাও বলা হয়েছে।


কোভিডে ব্যবহৃত ২০টি প্রধান কোভিড ওষুধ, ১২টি অন্যান্য ওষুধ, ৪টি বাফার ওষুধ এবং ১টি ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধের প্রাপ্যতা ও দাম পর্যবেক্ষণ করার কথাও বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত আছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য মক ড্রিল করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। কঠোরভাবে রেসপিরেটরি হাইজিন ও কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেন। মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা, ২ গজের দূরত্ব বজায়ও রাখার কথাও বলেন। এই নিয়মগুলি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা কড়া নজরদ