কলকাতা : ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এটি পান করলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ ও হাড় মজবুত হয়। সবথেকে ভাল ব্যাপার হল, দুধ পান করলে অনেক মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যে কারণে মানুষ প্রায়ই তাদের খাদ্য তালিকায় দুধ অন্তর্ভুক্ত করে। কেউ কেউ সকালে দুধ পান করতে পছন্দ করেন, আবার কেউ কেউ ঘুমানোর আগে দুধ পান করে থাকেন।


আপনি যদি আপনার বাড়তে থাকা ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং তা কমানোর কথা ভাবছেন, তাহলে দুধ পান করা শুরু করুন। এই প্রবন্ধে আমরা জানব রাতে দুধ পান করলে কি ওজন বাড়ে ? দুধ পান করার সঠিক সময় কী ?


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দুধে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোজ এবং প্রোটিন থাকে। তাই রাতে দুধ পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। এক গ্লাসে কমপক্ষে ১২০ ক্যালোরি থাকে ৷ আপনি যখন দুধ পান করেন এবং ঘুমান, তখন সেই ক্যালোরির ক্ষয় হয় না৷ দুধও ঘন হয়। তাই সময়ে পান করলে তা সহজে হজম হয়। ওজন কমাতে চাইলে রাতে ভুল করেও দুধ পান করবেন না। ওজন কমাতে চাইলে রাতে দুধ না খেয়ে ব্রেকফাস্টের সময় দুধ পান করুন। সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে দুধ পান করা খুবই উপকারী। হজমের সমস্যা থাকলে রাতে দুধ পান করবেন না। আপনার যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকে বা ওজন কমাতে চান, তাহলে জেনে রাখুন রাতে দুধ পান করা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। খাবার খাওয়ার পর যে দুধ পান করবেন তা ঠান্ডা হওয়া উচিত নয় কারণ তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। দুধ সবসময় হালকা গরম করুন।


চিকিৎসকরা প্রায়শই প্রোটিন- সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর প্রোটিনের কথা উঠলেই, ডিমের প্রসঙ্গ সবার আগে চলে আসে। আবার কোনও কোনও চিকিৎসক, এই অভাব পূরণ করতে দুধ পান করার পরামর্শ দেন।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।