কলকাতা: যে কোনও অষ্টমী তিথিকে খুব একটা শুভ দিন মানা হয় না। কিন্তু গোকূলে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে বা অষ্টম তিথিতে জন্ম হয় কৃষ্ণের। এরপরই এই তিথির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায় অনেকটা। এই তিথির আর এক নাম গোকূল অষ্টমী। সেই থেকে সারা ভারতবর্ষে প্রতি বছর এই জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাৎ ফুল, আতপ চাল, ফলের নৈবেদ্য, তুলসীপাতা, দূর্বা, ধূপ, দীপ, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধু পর্কের বাটি, আসন-অঙ্গুরী সংগ্রহ করতে হয়। এই দিনে শুধু এক পদ দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ভক্তেরা জন্মাষ্টমীর দিন উপবাস রাখেন ও সংকল্প করেন। উপবাসের সময় কোনও খাবার খাওয়ার নিয়ম নেই। সারা দিন ফলার খেয়ে অষ্টমী তিথি শেষ হওয়ার পর তাঁরা উপোস ভাঙেন।
এই তিথিতে সঠিক উপাচারে পুজো করলে তবেই কিন্তু লাভবান হওয়া যায়। জন্মদিনে নতুনরূপে সাজাতে হয় শ্রী কৃষ্ণকে। সেখানে রাখা হয় ঝুলন, নতুন জামা, ময়ূরের পালক লাগানো মুকুট, পাঞ্চজন্য শঙ্খ, বাঁশি, সুদর্শন চক্র, ফুলের মালা, হাতে বালা, এই সব দিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে তাঁকে।
এই দিনটিতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব রয়েছে অনেকটাই। কোনও দম্পতি সন্তান চাইলে এই দিনটিকে শুভ বলে মনে করা হয়। ইচ্ছা খুব শীঘ্রই পূরণ হয় বলে বলা হয়ে থাকে।৩০ অগাস্ট রাত ১১:৪৭ মিনিট থেকে ৩১ অগাস্ট ১২:৩২ মিনিটে পালিত হবে নিশীথ পুজো। সেই সময় ৪৫ মিনিট সময় হাতে থাকে পুজো পাঠের জন্য। এই সময় শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় বলে ধরে নেওয়া হয়।
দূর্বা ঘাস ও চন্দনে গোপালকে স্নানের পর সাজানো হয়। স্নান করানো হয় দুধ দিয়ে। ৩০ অগস্ট, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত পুজোর শুভক্ষণ। ৩০ অগস্ট রাত ১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্তই রোহিণী নক্ষত্র থাকবে।