সুনীত হালদার, হাওড়া :  রক্তজবা দিয়ে হবে মাতৃ শক্তির আরাধনা। আজ কালীপুজো। তার আগে বাজারে জবা পৌঁছে গেলেও অগ্নিমূল্য সেই ফুল। শারদোৎসবের পর ফের উৎসবের আমেজ। শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়৷ মঙ্গলারতি দিয়ে শ্যামার আরাধনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মন্দিরে। হাওড়ার বাগনানের চাষিরা জানাচ্ছেন, এ বছর অতিবৃষ্টির কারণেই মার খেয়েছে ফলন।


লাল জবাতেই হয় শক্তির আরাধনা। কালীপুজোর আগে দেবীর পায়ে নিবেদনের সেই ফুলই মহার্ঘ। মালা থেকে খুচরো ফুল, অগ্নিমূল্য সবই। এ বছর অতি বৃষ্টির জেরেই গাছের গোড়া পচে মার খেয়েছে ফলন। তার জেরেই দাম চড়েছে বলে জানাচ্ছেন ফুল চাষিরা।


বাগনানের এক ফুল চাষি রিন্টু করের আক্ষেপ, 'ফলন এবার খুব খারাপ। এবারে অতি বৃষ্টির জন্য গোড়া পচে গেছে। পাতা ঝরে গেছে। ফলন মার খাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা। গত বছরের যা ফলন হয়েছিল এবার হয়নি।' 


প্রতি বছর হাওড়ার বাগনানের ওরফুলি, শরৎ, হল্যাণ এবং আন্টিলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৭০০ থেকে ৮০০ একর জমিতে জবা ফুলের চাষ হয়। সেই জবায় পৌঁছে যায় জগন্নাথ ঘাট ফুল বাজারে। সেখান থেকে ফুল যায় কলকাতা ও হাওড়ার সব বড় বড় বাজারে।


জগন্নাথ ঘাটের পাইকারি ফুল বাজারে এখন একটা জবার মালা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা দরে। ১০০০টা জবা ফুলের দাম কম বেশি পড়ছে ১০০০ টাকা। জগন্নাথ ঘাট পাইকারি বাজারের ফুল বিক্রেতা পুলক ধারা জানালেন, ফলন খারাপ। ১০৮টা জবার মালার দাম ১৬০ টাকা পড়ে যাবে !


উলুবেড়িয়া বাজারের খুচরো ফুল বিক্রেতা নির্মলকুমার মেটেও জানালেন, জবা ফুলের ফলন কম। বৃষ্টির জন্য সব নষ্ট হয়ে গেছে। সে জন্য এতটা বাজার অত্যন্ত চড়া এইবার ! 


দাম বাড়লেও ভিড় ফুল বাজারে। কারণ, জবা ছাড়া যে মাতৃ আরাধনা হবে না।আলোর উৎসবে ভাসছে কলকাতা - জেলা। করোনা আবহেও দীপাবলির আনন্দ শহর থেকে জেলায়।