কলকাতা: সংসার বা দাম্পত্য সুন্দর করে তুলতে স্বামী এবং স্ত্রী দু-জনেরই অবদান সমান। তবে এক ছাদের তলায় দীর্ঘ সময়ে থাকতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় একে অন্যের ভালমন্দের খেয়াল না রাখা। কাজের চাপ ইত্যাদি বহু কারণ দূরত্ব বাড়ায়। সম্পর্ক ভেঙে তো বেরিয়ে আসা যায়। কিন্তু সমস্যা গুরুতর না হলে আরও একবার কি চেষ্টা করা যায় না? এ ক্ষেত্রে নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়া কিন্তু খুব কঠিন নয়। কী করবেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
মুখোমুখি বসে কথা বলুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে কথাই বলেন না। ফলে সমস্যার উৎস অধরা থেকে যায়। প্রথমে সমস্যাটা ঠিক কোথায় সেটা খুঁজে বের করুন। আলোচনা করুন । দেখবেন সমাধান অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ হতে দেবেন না। পরিবার বা অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শ এ ক্ষেত্রে না নেওয়াই ভাল। কারণ আপনাদের পরিস্থিতি আপনাদের থেকে ভাল কেউ বুঝবে না। এ ক্ষেত্রে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শ এলে সেটা কার্যকর নাও হতে পারে।
তুলনা করবেন না। প্রত্যেকের নিজস্ব জীবন-যাপন আলাদা। আপনার স্ত্রী বা স্বামীকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। কেউ কারও মতো হয়ে উঠলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন ধারনা ভুল।
মা-বাবার প্রবেশ নৈব নৈব চ: নিজেদের দাম্পত্য সমস্যায় বাবা-মাকে ঢুকতে দেবেন না। সেটা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গুরুজন অশ্যই সম্মানীয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় দাম্পত্য সমস্যায় বাবা-মায়ের অনধীকার প্রবেশ সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।
স্যোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন কিছুদিন। আসলে স্যোশাল মিডিয়া আমাদের চাহিদা বাড়িয়ে তোলে।
নিজেরা একান্তে সময় কাটান। এই সময়ে স্বামী-স্ত্রী একা সময় কাটান। দূরে কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন বা দিনের শেষে বাইরে কোথাও ডিনার প্ল্যান করতে পারেন নিজেদের জন্য। যখন এক সঙ্গে রয়েছেন সেই সময়টা ফোন বন্ধ রাখুন। নিজেদের সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে কথা বলুন।
একে ওপরকে সময় দিন। অফিস, বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের অন্যান্য়দের সঙ্গে অবশ্যই সময় কাটান। তবে কিছুটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। সঙ্গীকে তাঁর কাজে সাহায্য করুন। এতে দাম্পত্য সুন্দর হয়।
কারও কথায় সন্তান পরিল্পনা করবেন না। অনেককেই বলতে শোনা যায়, সন্তান এলে দাম্পত্যের সম্পর্কে উন্নতি ঘটে। খবরদার এই ভুল করবেন না। নিজেরা তৈরি না থাকলে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শে সন্তান পরিকল্পনা করবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যখন কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না বুঝতে পারছেন। তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে।