কলকাতা : সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত? কীভাবে বুঝবেন? ঠিক কী পার্থক্য হয় দু'টি ক্ষেত্রে? ডেঙ্গি-বিপদ রুখতে সতর্কই বা হবেন কীভাবে? সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে যেমন প্রাণঘাতী হতে পারে ডেঙ্গি, তেমনই সচেতন থাকলেই রোখা যাবে বিপদ।
ডেঙ্গির উপসর্গ
একাধিক উপসর্গ দেখা যায় ডেঙ্গিতে (Dengue)। সবক্ষেত্রেই জ্বর দেখা যায়। হাই ফিভার (High Fever) স্বাভাবিক উপসর্গ। তার সঙ্গেই প্রবল সর্দি (Cough) ও ঠান্ডা লাগা। মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন গাঁটে অসম্ভব ব্যথা সারা গায়ে rash দেখা যায়। অনেকের প্রবল মাথাব্যথা (headache) হয়ে থাকে চোখে এবং চোখের পিছনে ব্যথা বমি (Vomiting ) এবং মাথাঘোরার সমস্যা দেখা যায়।
রোগের চিকিৎসা
মূল রোগের কোনও ওষুধ এখনও নেই। ফলে রোগের আক্রান্তদের উপসর্গের (Symptoms) চিকিৎসা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়লে প্রথম থেকেই প্রচুর জল, ফলের রস জাতীয় ফ্লুইড গ্রহণ করুন। এর চিকিৎসা বলতে প্যারাসিটামল এবং ফ্লুইড দেওয়া। ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে জ্বর নেমে গিয়ে রোগী যখন সুস্থ হতে শুরু করে তখনই হিমোকনসেন্ট্রেশন হয়ে যেতে পারে। একে বলে রিকভারি ফেজ কমপ্লিকেশন। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গি সাধারণত ১০ দিনের রোগ (সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। সমস্যা এবং তার সমাধান এই সময়কালেই সম্ভব। জ্বর হলে কোনওদিক না ভেবে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যান এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।
প্রতিকার / সতর্কতা
মশা তাড়ানোর জন্য নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। মশা তাড়াতে ঘরে নিমপাতা পোড়াতে পারেন। খাবারের তালিকায় নিমপাতা রাখতে পারেন। ডেঙ্গি রুখতে সবথেকে বড় হাতিয়ার সচেতনতা। তাই সচেতনতার বার্তাও দেওয়া হয়।
ড্রামে যেন জল না জমে। কোনও জায়গায় যেন দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে না থাকে ।
প্রয়োজনে মশার নেট ব্য়বহার করা হয় প্রয়োজনে মশারির ব্যবহার, মশা রেপেল্যান্টস ব্যবহার করতে হবে।
ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত রোগীকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- জ্বর ছেড়ে গেলেও ডেঙ্গি থেকে নিশ্চিন্ত নয়! কোন লক্ষণ দেখেই চিনবেন