কলকাতা: প্রায় প্রতিটি সাইটেই রমরমিয়ে বিক্রি করা হত। রোজকার জীবনে যে যে জিনিসগুলি লাগে, তাদের মধ্যে একটি ছিল এই বিশেষ দ্রব্যটি। তবে ভারতের প্রাণী অধিকার সংস্থা পেটা ইন্ডিয়ার (PETA India) চাপেই তার বিক্রি বন্ধ হল। পেটা ইন্ডিয়া গোটা দেশে প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আমাজন, জিওসহ বিভিন্ন অনলাইন গ্রসারি পোর্টালে রোজকার জিনিস পাওয়া যায়। তার মধ্যেই অন্যতম ছিল এটি। এবার জিনিসটির বিক্রি বন্ধ করে দিল সংস্থাগুলি।
নিষিদ্ধ করা হল কেন এই দ্রব্যটি?
কী নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা সম্প্রতি পেটা ইন্ডিয়া তাদের অফিসিয়াল সাইটে বিস্তারিত জানিয়েছে। ইঁদুর ও ছোটখাটো প্রাণীর হাত থেকে রেহাই পেতে একধরনের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা হয়। ইংরেজিতে তাকেই বলে গ্লু ট্র্যাপ। এর মধ্যে সেই প্রাণীটি পড়লে আর উঠতে পারে না। সেখানেই আটকে থাকে। ধীরে ধীরে সেটি খাবার না পেয়ে মরে যায়। বেশিরভাগ সময় ইঁদুর ধরতে এই ফাঁদ কাজে লাগে। এই গোটা প্রক্রিয়াকে অমানবিক বলে ব্যাখ্যা করেছে পেটা ইন্ডিয়া। তাই এটি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছিল সংগঠনটি।
আমাজন, জিওমার্টসহ নানা সাইটে নিষিদ্ধ
পেটা ইন্ডিয়ার এই আবেদনের ভিত্তিতেই দ্রব্যটির বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। সারা দেশের ৩২টি রাজ্যসহ বিভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নিষিদ্ধ করা হয় এই গ্লু ট্র্যাপ। পেটা ইন্ডিয়ার সাইটে এই সংক্রান্ত ভিডিয়ো আপলোড করা হয়। গ্লু ট্র্যাপের প্রাণীদের কেমন সমস্যায় পড়তে হয়, তা দেখানো হয় ওই ভিডিয়োতে।
প্রাণীদের শোচনীয় পরিনতি দেখেই সিদ্ধান্ত
পেটা ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাণীদের ফাঁদে ফেলতে সলে সাধারণ লোহার ফাঁদ ব্যবহার করা ভাল। এর বদলে গ্লু ট্র্যাপ দিয়ে তাদের মারা মানবিক নয়। কারণ গ্লু ট্র্যাপে আটকে থাকার কারণে ইদুরসহ অন্যান্য প্রাণীর শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। এছাড়াও অ্যাসফিক্সিয়েশন দেখা দেয়। অর্থাৎ শরীরে অক্সিজেন পরিমাণ কমতে থাকে। পাশাপাশি দ্রুত রক্ত কমে যেতে থাকে শরীরে। এইভাবে অমানকিব উপায়ে একটা প্রাণীকে হত্যা না করার আর্জি নিয়েই আবেদন করে তারা। এবার সেই আবেদনের ভিত্তিতেই দ্রব্যটিকে নিষিদ্ধ করা হল। তবে ইন্ডিয়ামার্ট ও বিগবাস্কেটে এখনও নিষিদ্ধ হয়নি জিনিসটি। সেই প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানিয়েছে পেটা ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন - Health Tips: পেস্ট দিয়ে মেজেও ঝকঝকে সাদা হয় না দাঁত ? ৪ ঘরোয়া উপকরণেই কাজ হবে