Tea Tree Oil: ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার (Skin and Hair Care) জন্য আমরা কত ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে থাকি। তবে এই তালিকা যে টি-ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil) যুক্ত করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই জেনে নেওয়া যাক ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় কীভাবে টি-ট্রি অয়েল (Skin and Hair Care with Tea Tree Oil) কাজে লাগে। এর পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন খুঁটিনাটি আরও অনেক কাজেই টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করা যায়। দেখে নেওয়া যাক টি-ট্রি অয়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। 


ত্বকের পরিচর্যা- ত্বকের যেকোনও ধরনের কালচে দাগছোপ বা র‍্যাশের সমস্যা, কিংবা অ্যালার্জি নিমেষে দূর করে এই টি-ট্রি অয়েল। ব্রনর সমস্যা এড়াতেও কাজে লাগে এই টি-ট্রি অয়েল। তবে খেয়াল রাখবেন যেন টি-ট্রি অয়েল কখনই সরাসরি ত্বকে লাগানো না হয়। অন্য কোনও তেল যেমন অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে এই টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে লাগাতে হবে। তাহলেই উপকার পাবেন।


চুলের যত্ন- রুক্ষ, শুষ্ক চুল কিংবা ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা, অথবা স্ক্যাল্পে কোনও ইরিটেশন, র‍্যাশ, ইনফেকশন, অ্যালার্জি এইসব দূর করার জন্য টি-ট্রি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও অন্য কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তবে চুলে টি-ট্রি অয়েল লাগাবেন অর্থাৎ অ্যাপ্লাই করবেন। সরাসরি স্ক্যাল্পে এই তেল না লাগানোই ভাল। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।


ক্ষতস্থান শুকোনো- যেকোনও কাটাছাঁড়া এবং ক্ষতস্থান সহজে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন টি-ট্রি অয়েল। এই জাতীয় সমস্যা দারুণ ভাবে কাজ করে টি-ট্রি অয়েল। অল্প দিনের মধ্যেই শুকিয়ে যায় ক্ষতস্থান। 


র‍্যাশ, অ্যালার্জি- যেকোনও স্কিন অ্যালার্জির ফলে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এর ফলে ত্বকের উপর অনেকেরই লালচে দাগ হয়ে যায়। এই দাগ এবং র‍্যাম, অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে টি-ট্রি অয়েল। অনেক সময় ত্বকে জ্বালাভাব হয়। সেই সমস্যা দূর করতেও কাজে লাগে টি-ট্রি অয়েল।  


সতর্কতা


টি-ট্রি অয়েল লাগানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। এই তেল কোনওভাবেই যেন চোখে না ঢুকে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে যেন সরাসরি ত্বক বা চুলে এই তেল না লাগানো হয়। অন্য কোনও তেলের সঙ্গে টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়ে লাগানো ভাল। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভাল অপশন। এছাড়াও রয়েছে নারকেল তেল। 


আরও পড়ুন- ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন 'কাঁচা দুধ', কীভাবে উপকার পাবেন?