নয়াদিল্লি : গরম বাড়ছে। কাঠফাটা রোদ। অথচ নিত্যদিন কাজে বেরোতেই হবে। কখনো এসি-তে, তো কখনো গরমে। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে আমরা মাঝেমধ্যে ঠান্ডা পানীয়ও পান করে নিচ্ছি। এই করে গায়ে ঘাম বসে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রখর রোদে এই সমস্যা থেকে আপনাকে-আমাকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কারণ, এই ইমিউন সিস্টেমই শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে বাঁচায়। কাজেই জ্বর-জ্বালার মরসুমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকা প্রয়োজন। 


দেশে বাড়ছে H3N2 । এই পরিস্থিতিতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম, ধূমপান ত্যাগ করা, মদ ত্যাগ করা-এইসব পদক্ষেপগুলি নেওয়া উচিত। তাতে প্রাকৃতিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে অনেকটা। তবে, খাবারের দিকে কীভাবে নজর দেবেন ? কিছু পুষ্টিকর খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে।


এরকমই কয়েকটি 'বিস্ময়ককর' খাবার সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক...


হলুদ : প্রতিদিনের খাবারে আমরা এই 'বিস্ময়' মশলা অল্পবিস্তর ব্যবহার করেই থাকি। হলুদের প্রধান উপাদান Curcumin। যা প্রদাহ থেকে আমাদের রক্ষা করে। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপনি হলুদ মেশানো দুধ বা চা পান করতে পারেন।


আমোন্ড : প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয় আমোন্ডকে। আমোন্ড আপনার হার্টের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার পক্ষে এর জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিনের উৎস এই আমোন্ড। 


সাইট্রাস জাতীয় খাবার : এই পরিবারে রয়েছে - কমলালেবু, আঙুর-সহ আরও কয়েকটি ফল। এইসব ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


গ্রিন টি : এমনটা নয় যে গ্রিন টি পান করলে হঠাৎ করে আপনার ওজন ঝরে যাবে। তবে, বিভিন্ন রকমের উপকারিতা রয়েছে এর। গ্রিন টি-তে রয়েছে Epigallocatechin Gallate যা রোগের মোকাবিলা করা এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।


বাটারমিল্ক : ক্যালসিয়ামে ভরপুর দেশীয় এক ধরনের পানীয়। বাটারমিল্কে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে শিলা লবণ, মরিচ এবং পুদিনা পাতা মিশিয়ে পান করতে পারেন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।