Lip Care Tips: শীতকালে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেকের ক্ষেত্রেই মারাত্মক ভাবে দেখা দেয়। তাঁদের ত্বক হয়তো এমনিতেও বেশ রুক্ষ এবং শুষ্ক প্রকৃতির। আর শীতের রুক্ষ-শুষ্ক আবহাওয়া ত্বক আরও শুকনো খসখসে করে তোলে। শীতের মরশুম শুরু হওয়ার অনেকদিন আগে থেকেই আরও একটা সমস্যা প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। সেটি হল ঠোঁট ফাটার সময়। শীতের দিনে ঠোঁট মারাত্মক ভাবে রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়। তবে শুধু ক্রিম লাগিয়ে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন অনেক কিছু করে থাকি যার কারণে বেশি ঠোঁট ফাটে। তাই দৈনন্দিন জীবনের এইসব বদভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে। তাহলেই ঠোঁট থাকবে মসৃণ। বলা ভাল, অনেকের কিন্তু গরমের দিনেও ভীষণ ভাবে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা যায় এবং ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি আর কী কী করলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।
- শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে ঠোঁট ফাটতে পারে। অর্থাৎ আমাদের জলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে যে ঘাটতি তৈরি হয় তার কারণে সার্বিকভাবেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। ফলত ঠোঁটও মারাত্মক ভাবে রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে। তাই শীতের দিনে জল খেতে ইচ্ছে করছে না বলে কম জল খাবেন না। শীতে যেহেতু আবহাওয়া আপাত ভাবে ঠান্ডা থাকে তাই সেভাবে পিপাসা পায় না এবং অনেকেরই স্বভাবিক তাপমাত্রার জলও বেশ ঠান্ডা থাকে বলে খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু এমনটা করলে চলবে না। পরিমিত পরিমাণে জল খেতেই হবে। তাহলেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা কমবে।
- অনেকে দাঁত দিয়ে ক্রমাগত ঠোঁটের চামড়া ছিঁড়তে থাকেন। কারও বদভ্যাস হাত দিয়েই ঠোঁটের চামড়া ছিঁড়ে ফেলা। শীতের দিনে যেহেতু ঠোঁটের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায় তাই উপর থেকে পাতলা চামড়া আলগা হয়ে উঠে আসে। দাঁত হোক হাত, কোনও কিছু দিয়েই চামড়া ছিঁড়ে ফেলা উচিত নয়। এর ফলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা তো আরও বাড়বেই, সেই সঙ্গে হতে পারে ইনফেকশন, ব্যথা, জ্বালা। অনেকে একটু নার্ভাস হলেই দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ফেলেন। কারও আবার বারংবার জিভ দিয়ে ঠোঁট চেটে নেওয়ার অভ্যাস থাকে। এই দুই অভ্যাসের কারণেও ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
আরও পড়ুন- কতক্ষণ ফোটালে ডিম সুসিদ্ধ হবে ? গ্যাসের আঁচ কেমন রাখা প্রয়োজন ? জলই বা কতটা দেবেন ?