নয়াদিল্লি : কম খেলে তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যায়, নাকি রোজ একটা লম্বা সময় উপবাস করলে ?এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে সম্প্রতি একটি স্টাডি দাবি করছে, হঠাৎ করে খাওয়া দাওয়া কমিয়ে নয়, বরং কেউ যদি রোজই কম ক্যালরি গ্রহণ করে, তাহলে তার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে শুধু রোগা থাকা হবে তাই নয়, বরং আয়ুও বাড়বে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে একটি গবেষণায়, যা প্রকাশ পেয়েছে Nature ম্যাগাজিন। তবে আপাতত এই পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৬০ টা ইঁদুরের ওপর।
স্টাডিটি বলছে, কেউ যদি রোজই কম ক্যালরির খাবার খান, তাহলে আয়ু বাড়বে। Jackson Laboratory (JAX) র বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করেন। প্রায় হাজারটি ইঁদুরের উপর পরীক্ষাটি চালানো হয়। এই ইঁদুরগুলি যে সবাই একরকম খাবার খেত এমন নয়, এরা সব আলাদা আলাদা রকমের খাবার খেত। আগের একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল periodic fasting বা সাময়িক উপোসও , সারাদিনে কম ক্যালরির খাবার খাওয়ার মতোই কার্যকরী। তবে এখনকার স্টাডিটির দাবি, রোজ সাময়িক উপোস করার থেকে প্রতিদিনই কম ক্যালরির খাবার খেয়ে যাওয়াটা বেশি উপরকারী ও আয়ুবর্ধক। এনডিটিভি-তে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্টাডিটিতে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির ক্ষেত্রেই কম ক্যালরি গ্রহণ করলে আয়ু বাড়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং তো এখন খুবই জনপ্রিয় । এটাও ডায়েট নিয়ন্ত্রণের একটা প্রচলিত পদ্ধতি। এটা মানুষের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। তবে এর প্রভাব সম্পর্কে এখনও অনেককিছুই অজানা।
স্টাডিটি করার সময় একদল ইঁদুরের ২০ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অন্যদিকে আরেক দল ইঁদুরের ৪০ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে intermittent fasting এও রাখা হয় । দেখা যায় আয়ুবৃদ্ধিতে কম ক্যালরি গ্রহণ ও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংএর প্রভাব আছে। আয়ুর সঙ্গে পারিবারিক গড় আয়ুরও যোগসূত্র আছে। দীর্ঘায়ুর সঙ্গে জড়িত খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ, ওজন, স্ট্রেস, হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন :