হার্ট অ্যাটাকের আর কোনও বয়স নেই। কুড়ির কোঠা থেকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ১০ বছরের শিশুরও হার্ট অ্যাটাক? আঁৎকে ওঠার মতোই ঘটনা ঘটে। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে খেলতে খেলতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল বালক। গণেশ উৎসবের সমারোহ এখন মহারাষ্ট্রে। সেই উপলক্ষ্যেই বন্ধুদের সঙ্গে জমে উঠেছিল খেলা। সে সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ বছর বয়সী এক বালকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে কোদোলি গ্রামে। বালকের নাম  শ্রবণ গাভাড়ে । স্থানীয় সূত্রে খবর , গণেশ পুজোর প্যান্ডেলে খেলতে খেলতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তার পরের ঘটনা মর্মান্তিক। 

গণেশ পুজোর মণ্ডপে খেলার সময় অস্বস্তি বোধ করে শ্রবণ । তারপর বন্ধুদের জানিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ি ফিরে মায়ের কোলে শুয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরেই, হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সে। বাড়ির লোক কয়েক মিনিটও সময় পাননি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শ্রবণ। বালকটির আগে কোনও অসুখ ছিল কি না জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে কোনওদিন শ্রবণকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখেনি কেউই। তাহলে কী কারণে, অকালে হার্ট অ্যাটাকে চলে গেল ছোট্ট শ্রবণ? 

চিকিৎসকদের অনেকের মতেই, হালে শিশুদের মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। নি-সন্দেহে তা অভিভাবকদের চিন্তার অন্যতম কারণ । কিন্তু এটাকে সাধারণ সমস্যা বলা যায় না। কোনও কোনও শিশু হার্টে জন্মগত ত্রুটি থাকে, যা অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা জানেন না। প্রকট লক্ষণ না-থাকায় অভিভাবকরা ডাক্তার দেখানোর কথাও ভাবেন না অনেক সময় কিংবা কখনও আবার লক্ষণ চিনতে ভুল হয়ে যায়। এছাড়া, কোনও  আকস্মিক আঘাতে শিশুদের হার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, মারামারি-ধাক্কাধাক্কি হলে, খেলতে গিয়ে আঘাত লাগলে, পড়ে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে  পরামর্শ করা দরকার। শিশুদের বুকে আঘাতের কারণে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলেও বাচ্চার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। একদম ছোট্ট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে  ঘুমনোর সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। মুখে বালিশ, কম্বল চাপা পড়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে হৃদযন্ত্রে চাপ হতে পারে। এছাড়াও মনে রাখতে হবে, শিশুর ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার বা শ্বাসের সমস্যা বারবার হলে  হার্টের পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়া দরকার।  

 গত ৩১ অগাস্টই মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মহারাষ্ট্রে কোটা ব্যবস্থার প্রতিবাদ করার সময়  হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং অজ্ঞান হয়ে যান। একজন রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট তাঁকে দ্রুত সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়ায় তাঁর প্রাণ বাঁচে। রোগীর জ্ঞান ফিরে আসে এবং পরে চিকিৎসায় সাড়া দেয়।