Mental Stress: আজকাল আমাদের সকলের জীবনই বাঁধা পড়েছে টার্গেটের বেড়াজাল (Targets And Competetion)। অফিসের টার্গেট, ব্যক্তিগত জীবনের টার্গেট - সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ কার্যত নাকানিচোবানি খাচ্ছেন। পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের (Professional And Personal Life) ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। আর তার জেরে ক্রমশ বাড়ছে মানসিক চাপ, স্ট্রেস (mental Stress)। অবসাদের শিকার হচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে এই ইঁদুর দৌড়ের জীবনে, প্রতিযোগিতার ক্রমাগত চাপে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রেসের পরিমাণ লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে শুরু করেছে। আপনার সমস্যা কতটা গুরুতর তা আপনাকেই বুঝতে হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোনও ভাবেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা করবেন না। মনে রাখবেন শরীর খারাপ হলে যেমন ওষুধের প্রয়োজন হয়, তেমনই মনের অসুখ হওয়াটাও স্বাভাবিক এবং সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
স্ট্রেসের মাত্রা ক্রমশ বাড়লে বাড়িতেই কয়েকটা অভ্যাস মেনে চলতে পারেন, উপকার পাবেন
- প্রতিদিন বেশ কিছুক্ষণের জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান অভ্যাস করা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মেডিটেশন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। যাঁরা প্রথমবার ধ্যান শুরু করতে চলেছেন, তাঁরা ধীরে ধীরে সময়ের পরিমাণ বাড়ান। প্রথমে ৫ মিনিট দিয়ে মেডিটেশন শুরু করুন। তারপর সময় বাড়াতে হবে। মেডিটেশনের সময় হাল্কা মিউজিক চালিয়ে নিতে পারেন। চাইলে ঘর অন্ধকারও রাখতে পারেন। যতক্ষণ বেশি সময় মেডিটেশন করতে পারবেন ততই লাভ হবে। ধীর, স্থির, শান্ত হবে আপনার মন। মেজাজ শান্ত থাকবে। স্ট্রেস সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে।
- নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করলে স্ট্রেসের মাত্রা কমবে। শরীর, মন চাঙ্গা হবে। স্ট্রেস হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রতিদিন সকালে অন্তত ৩০ মিনিট যোগাসন অভ্যাসের চেষ্টা করুন এবং অতি অবশ্যই প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে। জটিল যোগাসন প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া করতে যাবেন না, কারণ এর জেরে চোট-আঘাতের সম্ভাবনা থাকে।
- বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাদের সঙ্গে যতটা বেশি সময় পারবেন কাটান। পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভাল থাকে সবসময়। ওরা অবলা জীব হলেও আপনার মনখারাপ সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারবে প্রয় পোষ্যই। এছাড়াও স্ট্রেসের মাত্রা খুব বাড়লে সম্ভব হলে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে তা শেয়ার করুন। অনেকসময়েই মানসিক চাপ শেয়ার করলে সমস্যা কমে। আর স্ট্রেস যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে অতি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
আরও পড়ুন- মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড নয়, ঘরোয়া টোটকাতেই কমবে অ্যাসিডিটির সমস্যা, কী কী করবেন?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।