কলকাতা: দুধের প্যাকেট কাটার সময় মূল প্যাকেট থেকে ছোট একটি প্লাস্টিক টুকরো আলাদা করা হয়। এই ছোট্ট টুকরোটি যায় ডাস্টবিনে। ডাস্টবিন থেকে সেটি পৌরসভার ময়লার গাড়িতে চড়ে। তার পর তার কী হয়, কখনও ভেবেছেন ? পৌরসভাতে প্লাস্টিক ময়লা ফেলতে হলে আলাদা করে ফেলতে হয়। কিন্তু এই ধরনের ছোট ছোট টুকরো আলাদা করে ফেললেও কোনও লাভ হয় না। কারণ এগুলিকে রিসাইকল বা পুনর্নবীকরণ করা যায় না। আর এই ধরনের জিনিসই পরিবেশের বিপদ বাড়িয়ে দিচ্ছে উত্তরোত্তর। 


ছোট প্লাস্টিক টুকরো পরিবেশের বিপদ 


একজনের বাড়িতে রোজ এক প্যাকেট দুধ লাগে। তিনি দুধের প্যাকেট কাটার সময় ঠিক এভাবেই আলাদা করেন ছোট টুকরোটা। সেই টুকরোটা ফেলা যায় ডাস্টবিনে। মাসে তার দুধ লাগে ৩০ প্যাকেট। এবার একটা শহরের  পরিবার সংখ্যা কয়েক লাখ হলে দুধের প্যাকেটের টুকরোর সংখ্যা ঠিক কতগুলি হতে পারে আন্দাজ করা খুব কঠিন নয়। আর প্রতি বছর এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, যেগুলি কোনওভাবেই রিসাইকল করা সম্ভব নয়। 


কর্ণাটকের অদম্য চেতনা ফাউন্ডেশন ও বিজেপি ভাইস প্রেসিডেন্ট তেজস্বিনী অনন্তকুমার ২০১৯ সালে এই নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লেখেন, আমরা যদি এই প্লাস্টিক টুকরোটি মূল প্যাকেট থেকে আলাদা না করি, তাহলে সারা বেঙ্গালুরুতে রোজ ৫০ লাখ এমন প্লাস্টিক তৈরি হবে না। এই ছোট্ট কাজটিই কিন্তু পাল্টে দিতে পারে পৃথিবীর ভবিষ্য়ত। সেই সময় তাঁর ওই পোস্ট ঘিরে শোরগোল হয়। খবর হয় বেশ কিছু। তাঁর কথায়, এই ছোট্ট প্লাস্টিক আমাদের ভুলেই পাল্টে দিতে পারে পৃথিবীর ভবিষ্যত। তবে তা অন্যভাবে!


মিল্ক প্যাকেট মুভমেন্ট (Milk packet movement)


শুনতে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু এই ছোট্ট ত্রিকোণ টুকরো নিয়ে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তা গড়ে তুলেছেন পরিবেশবিদরা। তেমনই একজন হলেন কৃপা রামচন্দ্রন। তিনি এই বিষয়ে একটি অনলাইন পিটিশনে সই সংগ্রহ শুরু করেন। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিককে এই অভ্যাসের ব্যাপারে নানাভাবে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়েছেন। চেষ্টা এখনও জারি রয়েছে।



(ছবি সৌজন্য - ইনস্টাগ্রাম@designwithsunday)


কী করতে হবে? 


কী করলে পরিবেশকে এই মারাত্মক বিপদ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে? উপায়টি বাতলে দিচ্ছেন পরিবেশবিদরাই। দুধের প্যাকেট ছেঁড়ার সময় মুখের ত্রিকোণ টুকরো আলাদা করবেন না। বরং পুরোটা না ছিঁড়ে কিছুটা ছিঁড়ুন। এতে প্যাকেটের টুকরো আলাদা হবে না। ফলে পরিবেশ দূষণের কারণও হবে না।


আরও পড়ুন -  Health News : অকালে হাড়ের ক্ষয় ! কেন, কীভাবে হয় ?