কলকাতা: দুধকে অনেকসময়েই বিশেষজ্ঞরা Complete Food- বলে থাকেন। একাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে এতে। শিশু থেকে বয়স্ক- সব বয়সেই দুধ খাওয়া যায়। বিভিন্ন পুষ্টি-চাহিদাকে মেটায় দুধ। প্রতিদিনই বাড়িতে দুধ ফোটানো হয়।
ইদানিং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্যাকেটজাত দুধ আসে বাড়িতে। সেটা ফুটিয়ে নিয়ে তবেই খাওয়া হয়। অনেকসময়েই দুধ ফুটিয়ে সর তৈরি করা হয়, ক্ষীর বানানো হয়। কিন্তু তা ছাড়া, এমনি দুধ খাওয়ার সময়েও ফোটাতে হয়। কিন্তু ঠিক কতবার ফোটানো যায় দুধ? বেশি দুধ ফোটানো কি আদতে খারাপ?
দুধ বারবার ফোটানো কি ঠিক?
ফোটানো দুধ খাওয়া স্বাস্থ্য়ের জন্য উপকারী। প্যাকেটজাত দুধে অনেকসময়েই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা থেকে পেটে সংক্রমণ হতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতেই দুধ ফুটিয়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যে ধরনের দুধ হোক না কেন, এক থেকে দুইবার ফোটানোই ঠিক। এর থেকে বেশিবার দুধ ফোটালে দুধে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। যার ফলে পুষ্টিগুণ কমে যায়। বেশি দুধ ফোটালে এতে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দুধ থেকে যে যে উপকার মিলতে পারত তা আর মেলে না। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ক্যালশিয়াম শোষণে সাহায্য করে। বারবার দুধ ফোটালে এই ভিটামিনের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে ক্যালশিয়াম শোষণের ক্ষমতায় ধাক্কা লাগে। এর ফলে হাড়ের, দাঁতের .স্বাস্থ্যেও প্রভাব পড়ে। দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে অল্প আঁচে, সামান্য জল মিশিয়ে এটি ফোটানো উচিত। অনেকে বলে থাকেন, পুরো দুধ একবার ফুটিয়ে রেখে দেওয়া যায় ফ্রিজে। তারপর যতটুকু দরকার সেটুকু বের করে প্রয়োজন মনে করলে ফুটিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দুধ ফোটানোর ঠিক উপায় কী?
যতক্ষণ দুধ গরম করা চলবে, ততক্ষণ একটি হাতা (কাঠের হাতা হলে ভাল) দিয়ে দুধ মাঝেমধ্যে নাড়িয়ে যেতে হবে। তাহলে সর পড়বে না। দুধের যাবতীয় উপাদানও ঠিক থাকবে। বেশি আঁচে বা উচ্চ তাপে যে কোনও খাবার রান্না করলেই সেটি পুষ্টি হারায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দুধের ক্ষেত্রেও এটা ঠিক। প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ঢেলে নিন। বেশি আঁচে কিছুক্ষণ রেখেই আঁচ কমিয়ে দিন। অল্প আঁচে দুধ ফোটানোই ভাল। এরপর কিছুক্ষণ অন্তর চামচ বা হাতা দিয়ে দুধ নাড়তে হবে। ফুটতে শুরু করলেই আঁচ বন্ধ করে দিন। তারপর রেখে ঠান্ডা করে তুলে রাখুন।
আরও পড়ুন: অসময়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে? এই সমস্যা দূর করতে কী কী করবেন