নয়াদিল্লি : গত বছর থেকে আমাদের আলোচনার বিষয়টাই অনেকটা বদলে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে মানুষও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করছে। যখন করোনা অতিমারির প্রকোপ বাড়তে শুরু করে, তখন থেকেই আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে গিয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায় তা। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি রয়েছে, করোনার হাত থেকে তাঁরাই তত বেশি সুরক্ষিত। চিকিৎসকদের পাশাপাশি পুষ্টিবিদরাও সেই সমস্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, যা খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।


করোনা আবহের মধ্যেই মরসুমি অসুখ-বিসুখ নিয়ে হাজির হয়েছে বর্ষাকাল। আর এই বর্ষাকালে জ্বর, সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, কলেরা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো নানারকমের অসুখ লেগেই থাকে। একে করোনায় রক্ষা নেই, তার উপর বর্ষাকালের নিজস্ব অসুখ দোসর। তাই বর্ষাকালের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ এবং ইনফেকশনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কী কী খাবার খাওয়া জরুরি তার পরামর্শ দিচ্ছেন মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ করিশ্মা চাওলা।


১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার খেতে হবে।
২. প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারে হলুদ এবং রসুনের ব্যবহার করতে হবে।
৪. প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই দই রাখতে হবে।
৫. প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন, ডিম, মুরগির মাংস রাখতে হবে।
৬. প্রোটিনের পাশাপাশি খাবারের তালিকায় ফাইবার রাখাটাও জরুরি। তার জন্য প্রত্যেকদিন ফল এবং সবুজ শাক-সব্জি রাখতে হবে।
৭. রান্নার আগে সমস্ত শাক-সব্জি ভালো করে ধুয়ে নেওয়া খুবই জরুরি।
৮. যে সমস্ত খাবারে ওমেগা থ্রি রয়েছে, তা তালিকায় রাখা জরুরি।
৯. প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে ডিম, দুধ এবং সবুজ শাক-সব্জিতে। খাবারের তালিকায় অবশ্যই এগুলো রাখা প্রয়োজন।
১০. গ্রিন টি খেতে পারেন।


বর্ষাকালে কী করবেন আর কী করবেন না, তারও পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ করিশ্মা চাওলা। তিনি জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে আমাদের প্রত্যেকেরই নোনতা, মশলাদার খাবার বেশি খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবারের তালিকায় যেন প্রোটিন, কার্বো হাইড্রেট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সম পরিমাণে থাকে। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময়ে প্রত্যেকদিন শরীরচর্চা করা খুবই জরুরি। আপনার শরীরে জলের মাত্রা সঠিক রয়েছে কি না, তা জানারও পদ্ধতি জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। আপনার শরীরে জলের মাত্রা সঠিক থাকলে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অন্তর আপনার টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন হবে।