Monsoon Health Care Tips: বর্ষার মরশুমে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অনেকের ক্ষেত্রেই খুব সহজে ঠান্ডা লেগে যায়। বর্ষাকালে সহজে সর্দি লাগা এবং তারপর হাঁচি, কাশিতে জেরবার হওয়ার ঘটনা অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে বর্ষার মরশুমের এইসব সমস্যা দূর করা যায়। 

বর্ষাকালে ইনফেকশন, অ্যালার্জি এড়াতে চাইলে প্রতিদিনের জীবনে কোন কোন ছোটখাটো নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন, দেখে নিন 

  • বর্ষাকালে চেষ্টা করুন বৃষ্টিতে না ভিজতে। বিশেষ করে যাঁদের চট করে ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁরা একটু বেশিই সতর্ক থাকুন। যদি ভিজে যান তাহলে সম্ভব হলে ভেজা পোশাক পরিবর্তন করে নিন যত দ্রুত সম্ভব। বাইরে বেরোলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা এবং শুকনো পোশাক রাখুন। 
  • ভেজা জুতো, মোজা পরে থাকলেও বর্ষার মরশুমে ঠান্ডা লেগে সর্দি হতে পারে। অতএব এই ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। বর্ষার জুতো পরতে পারেন সম্ভব হলে। কর্মক্ষেত্রে সম্ভব হলে অতিরিক্ত জুতো রেখে দিতে পারেন। 
  • ভালভাবে চুল শুকিয়ে নিন স্নানের পর। ভেজা মাথায় ফ্যানের তলায় শুয়ে পড়লে ঠান্ডা লেগে যাবে সহজে। হাঁচি-কাশি-সর্দি হলে পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন। একবার ব্যবহার হয়ে যাওয়া রুমাল আর ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার পোশাক পরুন। বিছানার চাদর, বালিশ-কুশানের কভার পরিষ্কার রাখুন। যে ঘরে থাকছেন সেটাও যত সম্ভব পরিষ্কার রাখুন। তাহলে অ্যালার্জি হবে না। ইনফেকশনও এড়াতে পারবেন। 
  • বর্ষার আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি থাকে। ঘরে যাতে ড্যাম্প না হয় সেদিকে নজর দিন। আলো-বাতাস ঘরে যাতে ভালভাবে ঢুকতে পারে তার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। দরজা-জানলা খুলে ঘরে আলো-বাতাস ভালভাবে ঢুকতে দিন। 
  • সর্দি-কাশি বিশেষত হাঁচি হলে মাঝে মাঝে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। নাকে-মুখে-চোখে যত কম হাত দেবেন, ইনফেকশন তত কম ছড়াবে। এই ব্যাপারে একটু বেশিই সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে যাঁদের সহজে ইনফেকশন হয়ে যায়, তাঁরা খেয়াল রাখুন। 
  • মাঝে মাঝে উষ্ণ জল খেলে আরাম পাবেন গলায়। এছাড়াও স্টিম নিলে বন্ধ না খুলে যাবে সহজে। প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজে নিজে ওষুধ খেতে যাবেন না। তার ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।