কলকাতা: খুশকি সারা বছরের যে কোনও সময় হতে পারে। স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার ত্বক থেকেই খুশকি তৈরি হয়। কিন্তু শীত পড়ার পর এই খুশকির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এর বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। শীতের সময় আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে মাথার ত্বক থেকেও আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। মাথার ত্বক এতে শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে খুশকির সমস্যা বেড়ে যেতে থাকে। আর এই সমস্যার থেকে মুক্তি দিতে পারে নিমের গুণ। নিম তেলের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান। এই উপাদানগুলি মাথার ত্বকের জন্য নানা কারণে উপকারী।


নিম তেলের গুণ (Neem oil nutrients)


নিম তেলের মধ্যে রয়েছে একাধিক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলির মধ্যে রয়েছে ওলেইক অ্যাসিড, স্টিয়ারিক অ্যাসিড, পামিটিক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি শুধুই খুশকির সমস্যা দূর করে, তা নয়। বরং আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের।



  • নিমপাতার তেলের ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমায়।

  • এই পুষ্টি উপাদানগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রকৃতির। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

  • এছাড়াও, নিমের সবচেয়ে বড় গুণ হল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। অর্থাৎ রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে তেলের পুষ্টি উপাদান।


খুশকি নাশ করে নিম তেল! (Neem oil in dandruff)


নিম তেলের এই গুণগুলিই ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। পাশাপাশি মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পকে প্রচণ্ড শীতেও আর্দ্র রাখে। নিম তেলের অ্যাজাডিরাকটিন কোনওরকম জীবাণুর বৃদ্ধিকেও বাধা দেয়। এর ফলে উকুনের সমস্যাও দূর হয়। নিমের মধ্যে থাকা নিমবিডিন মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করে। পাশাপাশি স্ক্যাল্পে কোনও ছত্রাককে বাসা বাঁধতে দেয় না।


নিম তেল বানানোর কায়দা (Neem oil preparation)


উপকরণ: একগোছা টাটকা নিমপাতা, নারকেল তেল, সামান্য জল।


কীভাবে বানাবেন: প্রথমে একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে নিমপাতা ও কিছুটা জল নিন। এবার গ্রাইন্ড করে মিশ্রণটিকে মিহি করে নিতে হবে। এবারে একটি প্যানে কিছুটা নারকেল তেল নিয়ে হালকা উষ্ণ করে নিন। ২৫০ গ্রাম নিমপাতার জন্য আধ কাপ তেল নিতে হবে। উষ্ণ তেলে মিশ্রণটিকে ঢেলে দিন। এর পর ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে হবে। এক সময় মিশ্রণের রং সবুজ থেকে কিছুটা বাদামি হয়ে যাবে। তখন আঁচ নিভিয়ে দিন। একটি পাত্রে মিশ্রণটি থেকে তেলটি ছেঁকে নিন। এবার তেলটি বোতলে ভরে রেখে ব্যবহার করুন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/পদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: Exercise after eating: খাবার খেয়ে ব্যায়াম করলে দেদার উপকার ! কিন্তু কেমন ব্যায়াম করবেন ?