নয়াদিল্লি: ১ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে আনলক ডাউন ৩। এই পর্বে জিম খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এজন্য জারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,প্রত্যেক জিমে অক্সিমিটার রাখা বাধ্যতামূলক। জিমে ঢোকার আগে অক্সিমিটার দিয়ে ওই ব্যক্তির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দেখতে হবে। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর কম থাকলে তাকে জিমে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
শীতাতপ নিয়্ন্ত্রিত জিম হলে সেজন্য কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বলা হয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জিমে তাপমাত্রা রাখতে হবে ২৪-৩০ ডিগ্রি। আর্দ্রতার মাপকাঠি বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, ওই জিম সেন্টারের আর্দ্রতার মাত্রা যেন ৪০-৭০ শতাংশের মধ্যে থাকে। ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকাও বাঞ্ছনীয়। বাইরের বাতাস যেন ঘরে ঢুকতে পারে।
জিম সেন্টারে দূরত্ব বিধি বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ৬ ফুট দূরত্ব মেনে জিম করতে হবে। মোরারজি দেশাই ন্যাশনাল ইনসস্টিউট অব দিল্লি-র অধিকর্তা ডঃ ঈশ্বর বাসবরেড্ডি বলেছেন, "আগে জিমে ৩০ জন করে নিতাম। এখন ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি। ৮-১০ জনের বেশি নেওয়া হচ্ছে না। বাইরে ক্লাস করলে আগে ২০০ জনকে নেওয়া হত। সেখানে ৫০জনকে নিচ্ছি।"
শুধু দূরত্ব বিধি বজায় রাখাই নয়, মাস্কের বদলে মুখোশ পরে জিম করতে বলা হয়েছে। মাস্ক পরে জিম করলে যোগব্যায়ামের সময় অনেক ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। ১০ বছরের কমবয়সি শিশু ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের জিমে প্রবেশাধিকার নেই।
জিম খুললেও যেসব জিমে সুইমিং পুল, স্পা বা স্টিম বাথ নেওয়ার সুযোগ আছে, সেগুলি এখন বন্ধ রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।