কলকাতা: নাক খোঁটার অভ্যাস (Nose picking habit) রয়েছে ? না, কুঅভ্যাস বলে এই প্রশ্ন করা হচ্ছে না। পরিষ্কার থাকার পরামর্শ দিতেও জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না। বরং এর পিছনের কারণ বিজ্ঞানীদের এক সাম্প্রতিক খোঁজ। নাক খোঁটার অভ্যাসই নাকি মস্তিষ্কের কঠিন ব্যামো ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি এমনটাই জানা গেল এক গবেষণায়। এই নিয়ে আগেও গবেষণা হয়েছে। গবেষণার সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক ডজন। এবার নতুন করে আবার সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় সব গবেষণারই ফলাফল কাছাকাছি। অর্থাৎ ঘন ঘন নাক খুঁটলে মস্তিষ্কের কঠিন রোগ হতে পারে। আর সেই রোগের নাম ডিমেনশিয়া (dementia)। অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ নামেও সেটি পরিচিত।
কী দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণায় ?
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই নিয়ে হালে একটি গবেষণা করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ডিমেনশিয়া রোগীদের মস্তিষ্কে একটি বিশেষ রকমের প্রোটিন বাসা বাঁধছে। টাও নামের ওই প্রোটিন কিছু প্যাথোজেনেসিসের মাধ্যমে শরীরে আসে। অর্থাৎ শরীরের বাইরে থেকে কোনও না কোনও জিনিস থেকে প্যাথোজেনের মাধ্যমে তা ব্রেনে ঢোকে। এবার ব্রেনে ঢোকার পথ কোথায় ? বিজ্ঞানীদের দাবি, নাকই এর জন্য দায়ী। নাকের পথ দিয়েই সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছে যাচ্ছে ওই প্যাথোজেন। ঘটাচ্ছে নিউরোইনফ্লেমেশন অর্থাৎ স্নায়ুর প্রদাহ। যা থেকে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
নোংরা হাতে নাক খোঁটার অভ্যাস
নাক খোঁটার মূল কারণ নাকের ময়লা পরিষ্কার করা। কিন্তু নাক খোঁটার অভ্যাস যাদের রয়েছে, তারা প্রায়ই ময়লা হাতে তা করে থাকেন। নাক খোঁটার আগে পরে হাত ধুয়ে নেন না। এতে প্যাথোজেনের পোয়া বারো। নাকের ভিতর দিয়ে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে সেগুলি। মনে রাখা জরুরি, সংক্রমণ দুই ভাবে ছড়ায়। একটি হল তলের মাধ্যমে, অন্যটি বায়ুর মাধ্যমে। তলের মাধ্যমে ছড়ানো সংক্রমণ ছোঁয়াচে হয়। আর সেই সংক্রমণই ডিমেনশিয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
কী বলছেন গবেষকরা
বায়োমলিকিউল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু প্রমাণ তুলে ধরেছেন। নাকের ভিতর ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার পিছনে আমাদের আঙুলের ভূমিকা কতটা তা দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, ওই ব্যাকটেরিয়াগুলিই পরে স্নায়ুর প্রদাহের কারণ হয়ে ওঠে। গবেষক বলেন, কোভিডের সময় আমরা পরিচ্ছন্নতার কতটা গুরুত্ব তা দেখতে পেয়েছি। সেই অভ্যাসটি বজায় রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন - NASA News: দেড় গুণ বড় আরেক ‘পৃথিবী’! কতদূরে ? কেউ কি আছে