কলকাতা: বাচ্চার (Kids) সঙ্গে সময় কাটাতে কে না চায়। কিন্তু বর্তমান যুগে বাবা-মা দুজনকেই কাজে বেরতে হয়। সেই সময় হয় বাচ্চাকে রাখতে হয় কোনও কাজের লোকের কাছে। অথবা, বাচ্চাকে বাড়িতে একা রেখেই যেতে হয়। বাড়িতে বাচ্চা ছাড়া আর কেউ যদি না থাকে, তাহলে নানা বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। চিন্তায় থাকেন বাবা-মায়েরাও। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোন দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন, বাচ্চাকে কোন কোন বিশদে একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নেওয়া দরকার (Parenting Tips), সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


বাচ্চাকে একা বাড়িতে রাখলে যেগুলো খেয়াল রাখা দরকার অভিভাবকদের-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাচ্চা যদি বাড়িতে একা থাকে, তাহলে তার কাছে যেন প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফোন নম্বর অবশ্যই থাকে। অথবা, বাচ্চাকে প্রয়োজনীয় নম্বরগুলি দরকারে মুখস্ত করিয়ে রাখতে হবে। আশেপাশের বিশ্বস্ত কারও ফোন নম্বর তাঁকে মনে করিয়ে রাখতে হবে, যেন প্রয়োজন হলেই সে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এবং সেই ব্যক্তি যেন দ্রুত এসে বাচ্চাকে সাহায্য করতে পারেন। এর পাশাপাশি, প্রতিবেশীদেরকেও খেয়াল রাখার জন্য বলতে পারেন। তাঁরা যেন মাঝেমধ্যে বাচ্চাটির খোঁজ নেন।


২. বাচ্চাদের অবশ্যই নিরাপদে থাকার কিছু নিয়ম শিখিয়ে রাখা দরকার। যেমন, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে, তার সুইচ যেন অন না করে। জল হাতে যেন ইলেকট্রিকের সুইচ না অন করে। বাথরুমে থাকা ফিনাইল, অ্যাসিড, ঘরে থাকা ওষুধ যেন কোনওভাবে তার পেটে না চলে যায়। এছাড়াও বাড়িতে যে সমস্ত জিনিসের মাধ্যমে তার বিপদ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো থেকে যেন সে দূরে থাকে, তা তাকে জানিয়ে রাখার দরকার।


আরও পড়ুন - Ageing: কী কী কারণে ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে?


৩. সারাদিনের একটি রুটিন করে দেওয়া দরকার বাচ্চাকে। নাহলে সারাদিন সে টিভি দেখতে পারে। মোবাইলে গেম খেলতে পারে। প্রয়োজনে হোম টাস্ক দিয়ে যেতে পারেন বাচ্চাটিকে। অথবা, কিছু ব্যায়াম করার অভ্যাস করাতে পারেন। 


৪. বাচ্চাকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন সারাদিন। হোমওয়ার্ক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাজল সলভ করতে দিন, ছবি আঁকা দিয়ে রাখুন অথবা কবিতা মুখস্ত করতে দিন। যা করতে তার বেশ কিছুটা সময় লাগবে, এমন কাজে তাকে ব্যস্ত রাখুন। তার সঙ্গে সময়ও ধরে দেওয়া দরকার।


৫. কখন দরজা খোলা দরকার আর কখন নয়, সে সম্পর্কেও বাচ্চাকে শিখিয়ে রাখা দরকার। কোন কোন ব্যক্তি আসলে তবেই সে দরজা খুলবে, তা যদি তার না জানা থাকে, তাহলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। প্রয়োজনে ম্যাজিক আই দিয়ে দেখে নেওয়াও শিখিয়ে দিতে হবে। নিজেও মাঝেমধ্যে বাচ্চাকে ফোন করে অথবা ভিডিও কল করে দেখে নিন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।