কলকাতা: কড়াইশুঁটি বা মটরশুঁটি, নানা বাঙালি মেনুতে পাওয়া যায় এই সব্জি। কড়াইশুঁটির কচুরি থেকে আরও নানা পদ। এই ছোট সব্জিই কিন্তু ভরপুর প্রোটিনের উৎস।


কড়াইশুঁটি দিয়েই শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের সরবরাহ করা যায় নানাভাবে। শুঁটি থেকেই তৈরি হয় pea protein. খোসা ছাড়িয়ে শাঁস থেকে প্রোটিন বের করা হয়। গুঁড়ো করে তৈরি করা হয় প্রোটিন পাউডার (pea protein powder)।


ভরপুর পুষ্টিগুণ


১. শর্করার পরিমাণ খুব কম থাকে এতে। কম থাকে কার্বোহাইড্রেটও। এছাড়া যাঁরা মাছ-মাংস খান না অথবা যাঁরা ভিগান তাঁদের প্রোটিনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভরসা করা যায় এর উপর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ল্যাক্টোস ও গ্লুটেন ফ্রি হওয়ায় সহজেই হজম (digest) করা যায় এই প্রোটিন পাউডার। 


২. pea protein-এ নয় ধরনের অত্যন্ত জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড (amino acid) থাকে। যা শরীরে তৈরি হয় না। একমাত্র খাবারের মাধ্যমেই শরীরে ঢোকে।


৩. প্রচুর পরিমাণে আয়রন (iron) থাকে এই প্রোটিনে। ভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবারের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।


শরীরের বন্ধু


১. একাধিক উপকার করে এই pea protein. শরীরে পেশি তৈরি করতে সাহায্য করে এই খাবার।


২. সহজেই পেট ভরে। হাই-প্রোটিন হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। শরীরে পুষ্টিও জোগায়।


৩. খেলাধূলা বা ব্যায়াম যাঁরা করেন, তাঁরা প্রতিদিনের ডায়েটে এটা রাখতেই পারেন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: খাওয়ার পরেই ঘুমে জুড়িয়ে আসে চোখ? হতে পারে 'ফুড কোমা'